সিটির জয়ের দুই নায়ক সিলভা (বাঁয়ে) ও জেসুস/ছবি: গার্ডিয়ান

মৌসুম শুরুর বাজে সময়টা ম্যানচেস্টার সিটি পেছনে ফেলেছে বহু আগে। এখন তো রীতিমতো অদম্য; সামনে যেই পড়ছে, যাচ্ছে দুমড়ে-মুচড়ে। সে ধারাবাহিকতায় জার্মান দল বরুসিয়া মুনশেনগ্লাডবাখকেও সহজেই হারিয়েছে কোচ পেপ গার্দিওলার দল। ব্রাজিলিয়ান গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও পর্তুগীজ বের্নার্দো সিলভা গোলে শেষ ষোলর প্রথম লেগে ‘অ্যাওয়ে ম্যাচে’ ২-০ গোলের জয় নিয়ে শেষ আটের পথেও একধাপ এগিয়ে গেছে দলটি।

ম্যাচটা জার্মান মুল্লুকে হওয়ার কথা থাকলেও করোনা সতর্কতার কারণে তা হয়েছে হাঙ্গেরিতে, তাতে নিজেদের মাঠের স্বাদটা পায়নি বরুসিয়া মুনশেনগ্লাডবাখ। ম্যাচেও যার ছাপটা পড়েছিল স্পষ্ট। শুরু থেকেই যেন ছন্দহীন ছিল দলটি। অন্যদিকে সিটি ছিল স্বাচ্ছন্দ্যে। প্রথম মিনিট থেকেই ম্যাচের লাগাম টেনে ধরেছিল শিরোপাপ্রত্যাশী দলটি। তবে গোলমুখে যেন ভোঁতা হয়ে যাচ্ছিল দলটির আক্রমণ!

সে ধারা ভাঙে ম্যাচের আধঘণ্টা পেরোনোর পর। হোয়াও ক্যানসেলোর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন সিলভা। পর্তুগীজ মিডফিল্ডারে ১৩ ম্যাচের গোলখরা কাটার পর প্রথমার্ধে অবশ্য আর গোলের দেখা পায়নি সিটিজেনরা। 

এদিকে প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া বরুসিয়া বিরতির পর থেকে গুছিয়ে প্রতি-আক্রমণে উঠছিল প্রতিনিয়ত। ৬২ মিনিটে গোলের দেখা পেয়েও যাচ্ছিল দলটি। আলেসাঁ প্লার শটটা লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে ম্যাচে সমতা ফিরত তখনই।

এর মিনিট তিনেক পরই ম্যাচের সব অনিশ্চয়তা দূর হয়ে যায় সিটির দ্বিতীয় গোলে। এ গোলেও অবদান ছিল সিলভা আর ক্যানসেলোর। ক্যানসেলোর ক্রস প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় খুঁজে পায় সিলভাকে, তিনি হেড করে বলটা বাড়ান ছয় গজের বক্সে। সেখান থেকে জেসুস গোলটি করেন। তাতে সিটি এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।

অন্তিম সময়ে অবশ্য দারুণ এক সুযোগ এসেছিল ‘স্বাগতিক’ বরুসিয়ার কাছে। সে যাত্রায় সিটির ত্রাতা হয়ে আসেন এডারসন। তার দারুণ এক সেভে দুটো অ্যাওয়ে গোল, অক্ষত জাল আর টানা ১৯তম জয় পায় সিটি। এর ফলে আগামী ১৬ মার্চ দ্বিতীয় লেগে কিছুটা স্বস্তি নিয়েই মাঠে নামবে কোচ গার্দিওলার শিষ্যরা।

এনইউ