কাজী সালাউদ্দিন, ফজলে নূর তাপস ও নাজমুল হাসান পাপন।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাহ’র খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম। একসময় সেখানেই নিয়মিতই হয়েছে ক্রিকেট। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই ওই স্টেডিয়ামটি সেভাবে ব্যবহার করছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। 

সর্বশেষ ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখানে ম্যাচ খেলেছিল হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। বাংলাদেশ শেষ খেলেছিল আরও প্রায় বছর খানেক আগে। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল টেস্টে। 

বিসিবির এই ‘অব্যবহৃত’ স্টেডিয়ামটি চেয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তবে এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলেও এখনো এই ব্যাপারে পাপন তাকে কিছু জানাননি বলে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি।

তিনি বলেন, ‘আমি যখন উনাকে (নাজমুল হাসান পাপন) স্টেডিয়াম ব্যবহারের কথা বলেছিলাম তখন তিনি বলেছিলেন তার অফিসের সঙ্গে কথা বলে আমাকে জানাবেন। তবে উনি আর আমাকে কিছু বলেননি। আমাদের মাঠের অনেক সংকট। তাই মাঠটি চেয়েছিলাম। মাঠ আমাদের খুব প্রয়োজন। পাপন সাহেবকে আমি বলেছিলাম যেহেতু ২-৩ বছর ধরে মাঠটি ব্যবহার হচ্ছে না, আমরা নির্দিষ্ট সময় ফুটবলের জন্য ব্যবহার করতে চাই। তিনি এখনো কিছু জানাননি।’

কেবল পাপন নয়, এই স্টেডিয়ামের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে বাফুফে। ফতুল্লা স্টেডিয়ামটি চাওয়ার যৌক্তিকতাও তুলে ধরেছেন সালাউদ্দিন। স্থায়ীভাবে নয়, যখনই বিসিবি চাইবে তখনই তারা মাঠটি ছেড়ে দেবেন বলেও জানান বাফুফে সভাপতি।

তিনি বলেন, ‘আমার অফিস ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আমি বিসিবি সভাপতিকে আরেকটি কথাও বলেছি যে, মাঠ আমরা স্থায়ীভাবে ব্যবহার করব না, স্থায়ীভাবে চাচ্ছিও না। তাদের যখন প্রয়োজন হবে, আগে বললেই আমি ছেড়ে দেবো। এখন আমাদের একটা মাঠে ৪-৫ টা লিগ খেলতে হবে। মেয়েদের লিগ, দ্বিতীয় বিভাগ, প্রথম বিভাগ, চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ- এক মাঠে আয়োজন করা খুবই কঠিন। স্টেডিয়াম খালি আছে বলেই আমরা চেয়েছি’

এমএইচ