বাঁ থেকে দ্বিতীয় সুজিত ব্যানার্জী চন্দন।

ঘরোয়া ফুটবলে রেফারিং বিতর্ক চরমে। দক্ষ রেফারি সঙ্কট। এর মধ্যেই দেশের অন্যতম শীর্ষ রেফারি সুজিত ব্যানার্জী চন্দন আর বাঁশি না বাজানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আগামীকাল রোববার ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচ দিয়ে রেফারিং ক্যারিয়ার ইতি টানছেন তিনি। চন্দন আবাহনী ও কিংসের ম্যাচ পুরোটা পরিচালনা করবেন না। দুই দলের অধিনায়কের সঙ্গে টস করে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসবেন এই কৃতি রেফারি। 

রেফারিং থেকে অবসর নেওয়ার কারণ সম্পর্কে সুজিত বলেন, ‘অনেক দিন হলো রেফারিং করছি। নতুনদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। আরেকটি কারণ হচ্ছে আমি রেফারিজ ইন্সট্রাকটর হিসেবে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। সেই দিকেই বেশি মন দিতে চাই।’

আবাহনী ও কিংসের ম্যাচ বেছে নেওয়ার কারণ সম্পর্কে সাবেক এই ফুটবলারের ব্যাখ্যা, ‘ইচ্ছে ছিল ঢাকায় আবাহনী ও মোহামেডান ম্যাচে অবসর নেওয়ার। সেই ম্যাচের জন্য আরো মাস খানেকের জন্য অপেক্ষা করতে হতো। সব কিছু বিবেচনা করে আবাহনী ও কিংসের ম্যাচই বেছে নিলাম।’ রেফারিং থেকে দ্রুত অবসর নেওয়ার পেছনে পারিবারিক সিদ্ধান্তও জড়িত রয়েছে। 

চলতি মৌসুমের ফেডারেশন কাপে ঢাকা আবাহনী ও কিংসের সেমিফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন চন্দন। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার মাঠে দক্ষ রেফারিদের মধ্যে অন্যতম তিনি। তার সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব বড় ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি হয়নি গত কয়েক বছরের মধ্যে। 

সুজিত ব্যানার্জী চন্দন ফুটবলার হিসেবে অবসর নেওয়ার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা বিভাগে যোগদান করেন। এর পাশাপাশি রেফারিং চালিয়ে গেছেন। টানা বেশ কয়েকবছর ফিফা ব্যাজধারী রেফারি ছিলেন। দুই-তিন বছর যাবৎ রেফারিজ ইন্সট্রাকটর হিসেবেও কাজ করছেন। এএফসি বি লাইসেন্স কোচিং কোর্সও করছেন। মাঠে বাঁশি না বাজালেও রেফারিদের মান উন্নয়ন ও রেফারিং নিয়েই কাজ করতে চান চন্দন।

বাফুফের রেফারিজ বিভাগের হেড অফ রেফারিজ ও সাবেক ফিফা রেফারি আজাদ রহমান বলেন, ‘চন্দন অত্যন্ত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন রেফারি। রেফারি ও সহকারি রেফারি উভয় ক্ষেত্রে সে দারুণ করেছে। সামনে ম্যাচ কমিশানর ও রেফারিজ সংক্রান্ত কাজে তার সাফল্য কামনা করি।’

এজেড/এটি/এমএইচ