ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) কর্মকর্তাদের হাতে সাংবাদিক হেনস্তার বিচার দাবি করেছেন জেলার গণমাধ্যম কর্মীরা। 

সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে এ দাবিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী ও বাফুফে বরাবর জেলার ১০টি সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করেন। 

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে সাফজয়ী কলসিন্দুরের ৮ নারী ফুটবলারের বরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, হেনস্তা ও পেশাগত কাজে বাধা দেয় জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সাফজয়ী ময়মনসিংহের আট নারী ফুটবলারকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসন, জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যৌথভাবে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এমন আনন্দ ও খুশির দিনে স্থানীয় সাংবাদিক এবং ঢাকা থেকে আসা খেলার সাংবাদিকরা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের গালমন্দ, অশোভন আচরণ, পেশাগত কাজে বাধা ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন। ক্রীড়া সংস্থা ও ফুটবল এসোসিয়েশনের এ ধরনের আচরণ অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। 

সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, ২ অক্টোবর রাতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক ইউনিয়নসহ দশটি সাংবাদিক সংগঠনের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নিন্দাপ্রস্তাবসহ ক্রীড়া সংস্থা ও ফুটবল এসোসিয়েশনের সব ধরনের সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দুটি সংস্থার কর্মকর্তাদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তাদের সব ধরনের সংবাদ বর্জনের এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। প্রয়োজনে মানববন্ধনসহ দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। এছাড়া এ ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতারা।

স্মারকলিপি প্রদানকালে ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আতাউল করিম খোকন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম মোস্তফা, ময়মনসিংহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, নিউজ চ্যানেল জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (এনসিজেএ) সভাপতি হারুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক হোসাইন শাহীদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

উবায়দুল হক/এটি/এনইআর