সরকারের কাছে বাফুফে ১৬৮২টি ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন করেছিল। বাফুফের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৭০০ ভ্যাকসিন মঞ্জুর হয়েছে। এই ৭০০ ভ্যাকসিন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ফুটবলারদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। বাফুফের বেতনভুক্ত এক্সিকিউটিভদের মধ্যে যারা বয়োজ্যেষ্ঠ তারাও থাকবেন এই অগ্রাধিকারের তালিকায়। 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ ৩৫ জন ফুটবলার নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে। চলমান লিগে ১৩ ক্লাবের প্রায় সব ক্লাবই ৩০ জন বা এর অধিক ফুটবলার নিবন্ধিত রয়েছেন। বাফুফে প্রিমিয়ার ও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে ২৩ জনের বেশি কোনো ক্লাবের ফুটবলারদের ভ্যাকসিন বরাদ্দ করতে পারবে না বলে জানান সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে দিতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু আমরা পেয়েছি কম, এজন্য প্রতি ক্লাব থেকে ২৩ জন ফুটবলারের নাম দিতে বলব। নিয়মিত একাদশ, বদলি ফুটবলার হিসেবে ২৩ জন আশ করি অনেকটাই কাভার করে যাবে।’ 

বাফুফের অধীনে বর্তমানে প্রিমিয়ার ও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ ছাড়াও চলছে তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ। তবে এই ৭০০’র মধ্যে তৃতীয় বিভাগ পড়ছে না বলে জানান সাধারণ সম্পাদক, ‘প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ দিয়ে আগে শুরু করব। এই ৭০০’র মধ্যে তৃতীয় বিভাগের সবাইকে দেয়া সম্ভব হবে না। আমরা আবার আবেদন করব তখন ফুটবল সংশ্লিষ্ট অবশিষ্টদের মধ্যে বন্টন করা হবে।’

বাফুফের মেডিক্যাল কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান আল ইমরান বলেন, ‘আমরা ফুটবলারদের একটা নির্দেশনা দেব। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছে। আশা করি ফুটবলাররাও গ্রহণ করবে। বাফুফে সচিবালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা মেডিক্যাল কমিটি এশটি গাইডলাইন তৈরি করব।’
এজেড/