বর্তমান সময়ের অন্যতম মহাতারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। নিজের দেশ পর্তুগাল এবং ইউরোপীয় লিগে রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্তাস ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে অনেক অর্জন রয়েছে তার। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় তিনি সৌদি ক্লাব আল-নাসরে যুক্ত হয়েছেন। রেকর্ড পরিমাণ অর্থ খরচ করে রোনালদোকে দলে টেনেছে ক্লাবটি। কিন্তু তার উপস্থিতিতে আশানুরূপ সুফল পাচ্ছে না তারা। উল্টো তার কারণে সতীর্থদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠার অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দ্বিতীয় দফায় যোগ দেওয়ার পর সিআরসেভেনের পারফর্ম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কোচ এরিক টেন হগ। যার ধারাবাহিকতায় ম্যাচের পর ম্যাচ তাকে সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন। এতে আরও চাপে পড়েন সিআরসেভেন। জাতীয় দলের হয়ে ইউরো জেতানো এই তারকাকে বিশ্বকাপেও তেমন সুযোগ দেওয়া হয়নি। তবে সেসব ভুলে বিশ্বকাপের পর নতুন ক্লাবে যাত্রা শুরু করেন রোনালাদো। কিন্তু সেখানেও এই ৩৮ বছর বয়সী তারকার সময় ভালো যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন : ‘ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় রোনালদোর জার্সি নিলামে’

রোনালদোকে নিয়ে এবার আল-নাসরে খেলা তার ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ লুইচ গুস্তাভোই মূলত অভিযোগ তুলেছেন। যদিও ইতিবাচক অর্থেই এমন মন্তব্য করেছেন এই মিডফিল্ডার। গুস্তাভো বলেন, ‘রোনালদোর উপস্থিতি সত্যিই আমাদের জীবন কঠিন করে তুলেছে। কারণ এটি সবার ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। আমাদের বিপক্ষে নামার আগে প্রতিটি দল নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে থাকছে। রোনালদো নিজেও বাকিদের অনুপ্রাণিত করেন। ক্লাবে তার উপস্থিতি অনেক বড় ব্যাপার। রোনালদোর কাছ থেকে প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখছি।’

তবে রোনালদো শীঘ্রই ক্লাবে মানিয়ে নিবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন গুস্তাভো, ‘চ্যালেঞ্জ জয় করাই রোনালদোর স্বভাব। রোজই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফল হয়েছেন। সামনে সে কি করবে তা দেখার জন্য আমরা সবাই মুখিয়ে আছি। প্রথমে এসে অনেক চাপে ছিল। তবে একটি গোল পাওয়ার পর সেই চাপ সব কেটে গেছে।’

জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে রোনালদোকে দলে টেনে সবাইকে অবাক করে দেয় আল-নাসর। তাকে দলে নিতে গিয়ে ক্লাবটির হয়ে নিয়মিত পারফর্ম করা ফরোয়ার্ড আবুবকরকে ছাড়তে হয়েছে। কিন্তু তার স্বভাবসুলভ প্রতিভা তো দূরে থাক, আবুবকরের অভাব পূরণ করতে ব্যর্থ তিনি। আল-নাসরের হয়ে খেলা তিন ম্যাচে তিনি এখন পর্যন্ত একটি গোল পেয়েছেন। 

এএইচএস