বাংলাদেশ ফুটবল দলের বিদেশি কোচদের বিদায় সুখকর হয় না। জাতীয় দলের সাবেক ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে'র বকেয়া নিয়ে জল অনেকদূর গড়িয়েছে। অবশেষে গত মঙ্গলবার জেমি ডে তার পাওনা বুঝে পেয়েছেন। 

জামালদের সাবেক কোচ ইংল্যান্ড থেকে এই প্রতিবেদককে বলেন, এই সপ্তাহের মঙ্গলবার বাফুফের কাছে পাওনার প্রায় ৯০ ভাগ অর্থ পেয়েছি। ১০ শতাংশের অল্প কিছু বকেয়া রয়েছে। জেমি ডের পাওনা নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ না করায় ফিফার অনেক হুমকির মধ্যে ছিল বাফুফে। জেমি ডের অর্থ পরিশোধ না করলে ফিফা বাফুফেকে ডেভলপমেন্ট ফান্ড বন্ধের কথাও বলেছিল। যদিও বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিফার ফান্ড কখনো স্থগিত হয়নি বলে জানিয়ে এসেছেন। 

জেমি ডে দিন তিনেক আগে তার পাওনা পেয়েছেন। জেমির বকেয়া প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় মে মাস থেকে বাফুফের ফিফা ফান্ড স্থগিতের অনুমান সাবেক কোচের, ‘বিষয়টি আমি পুরোপুরি জানি না। আমার আইনজীবী ভালো বলতে পারবে। আমি কিছু মাধ্যমে শুনেছি মে'র প্রথম থেকে ফান্ড স্থগিত।’

৮ মে জেমি তার পাওনার প্রায় পুরোটা বুঝে পেয়েছেন। এরপরও ফিফা ফান্ড স্থগিত হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, ‘এখনো আংশিক কিছু বাকি। পরিপূর্ণ না হওয়ায় হয়তো হতে পারে। আমি বিষয়টি নিশ্চিত নই।’  জেমি অনিশ্চিত হলেও বাফুফে নিশ্চিত করছে সাম্প্রতিক সময়ে ফান্ড স্থগিতের ব্যাপারে তারা ফিফার কোনো নির্দেশনা পাননি। 

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপ সাফের আগে জেমিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখে বাফুফে। কয়েক মাস পর বাফুফে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ দেয়। চুক্তিথাকাবস্থায় বাদ দেওয়ায় জেমি ফিফায় আবেদন করে। ফিফা বাফুফেকে জরিমানাসহ জেমির বেতন প্রদানের নির্দেশ দেয়। গত বছর ডিসেম্বর সেই ডেডলাইন মিস করেছে বাফুফে। 

এরপর জেমির প্রায় কোটি বকেয়া প্রদানের উদ্যোগ নেয়। ডলার সংকটের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি পেতে অনেক সময় নেয়। সেই অনুমতি মেলায় সম্প্রতি জেমি তার বকেয়ার প্রায় ৯০ ভাগ বুঝে পেয়েছেন।

জেমি ডের পাওনার বিষয়ে বাফুফে ফিফার সঙ্গে আলোচনা করেছে। এই প্রসঙ্গে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘জেমির সামান্য অংশ বাকি রয়েছে। যা ফিফা আমাদের অনুদান থেকে সমন্বয় করবে।’

এজেড/এফআই