ছবি: ঢাকা পোস্ট

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেননি। বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাঠগড়ায় জেমি ডে। তার অতি মাত্রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ট্রফি হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। লাল-সবুজের ফুটবলে সাফল্য একেবারে হাতেগোণা। সেখানে দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের সুযোগ সব সময় আসে না। কোচের নীতির জন্য এই পরিণতি বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট অনেকের। 

সোমবার ফাইনাল শেষে পরের দিন আজ টিম হোটেলে বেশ স্বাভাবিক মেজাজেই পাওয়া গেল জেমিকে। ফুটবল ফেডারেশন, ফুটবলপ্রেমীরা যেখানে আশাহত চ্যাম্পিয়ন ট্রফি না জেতায়, সেখানে জেমি এটাকে কিছুই মনে করছেন না, ‘আমি আগেও বলেছি, ট্রফি জিততে এখানে আসিনি। জিততে পারলে ভালো হতো। পারিনি, কিন্তু আমার ফুটবলারদের দেখতে পেরেছি।’ 

জেমি দুই ম্যাচে দুই একাদশ খেলিয়েছেন। দুই ম্যাচেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন। ফাইনাল যেখানে ট্রফির হাতছানি। সে মঞ্চেও তিনি পরীক্ষা চালিয়েছেন। ফাইনালে পরের দিন সেটার পক্ষে যুক্তিও দিলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের দেখতে চেয়েছি। সবাইকে সমান সুযোগ দিতে চেয়েছি।’ 

কোচের দৃষ্টিতে ম্যাচের ফলাফল প্রথমার্ধেই হয়েছে, ‘আমার ছোট ভুল করেছি। তারা সেই ভুল কাজে লাগিয়েছে। সেখানেই ফল হয়ে গেছে।’ দ্বিতীয়ার্ধে ইয়াসিন আরাফাত, সুফিলরা নামার পর ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। এদের দিয়ে একাদশ শুরু হলো না কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে জেমি বলেন, ‘আমি এখানে সেরা একাদশ খেলাতে আসিনি। আমি এখানে ট্রফি জিততেও আসেনি, জুনের জন্য দলকে প্রস্তুত করতে এসেছি। সেই লক্ষ্যেই একাদশ গড়েছি।’ 

ফাইনালে নামার আগে ফুটবলারদেরও ট্রফির দিকে চোখ রাখতে মানা করেছেন কোচ, ‘ম্যাচের আগে ফুটবলারদেরও বলেছি, ট্রফি নিয়ে চিন্তা করো না। নিজের স্বাভাবিক খেলা খেল।’

দলের অভিজ্ঞ ফুটবলার সোহেল রানাকে খেলাননি ফাইনালে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সোহেলকে মিডফিল্ডে প্রয়োজনই মনে করেননি জেমি, ‘সোহেল পরীক্ষিত ফুটবলার। তাকে দেখার কিছু নেই। দুই ম্যাচে তাকে দেখেছি। এজন্য ফাইনালে বিবেচনায় আনিনি।’

ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন না হলেও ফাইনাল খেলাকে আবার টুর্নামেন্টের প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন জেমি, ‘এই টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেললাম। দুই ম্যাচ গোল খাইনি। তিন ম্যাচের মধ্যে ডিফেন্স ঠিক ছিল গতকালের প্রথমার্ধ ছাড়া, এটাই আমার প্রাপ্তি।’

তিন ম্যাচে বাংলাদেশ একটিও গোল করতে পারেনি। সেই অর্থে ভালো আক্রমণ খুব বেশি হয়নি। অ্যাটাকিং নিয়ে কোচ বলেন, ‘লিগের কাঠামো পরিবর্তন না হলে সম্ভব না। ক্লাব পর্যায়ে স্ট্রাইকাররা খেলতে পারেন না ফলে জাতীয় দলে এই সমস্যা হবে। কাল লিগের দেশি ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ চার গোলদাতা এক সঙ্গে খেললেও গোল আসেনি।’ 

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশকে নেপালকে ২-০ গোলে হারানো উচিত।’ তিনি টুর্নামেন্ট থেকে ট্রফিও জিততে চেয়েছিলেন। ফেডারেশন সভাপতির এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জেমির অবস্থান, ‘তাদের খেলোয়াড়ের মান, আমাদের চেয়ে ভালো। র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে, পাশাপাশি স্বাগতিক। ফাইনাল ম্যাচে সব কিছুই প্রভাব পড়েছে।’

এজেড/এটি/টিআইএস