এএফসি কাপের প্লে অফ নিয়ে বেশ জটিলতার মধ্যেই পড়েছে ঢাকা আবাহনী। ঢাকায় ম্যাচ আয়োজন করতে পারছে না বাইরে গিয়েও খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। উভয় সংকটে পড়ায় আবার এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) কাছে দ্বারস্থ হয়েছে বাংলাদেশের এই শীর্ষ ক্লাব।

আবাহনীর ম্যানেজার ও বাফুফে নির্বাহী সদস্য সত্যজিত দাস রুপু বলেন, ‘আমাদের সাথে নেপালের কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। সেই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেল। এজন্য আজ আবার এএফসিকে চিঠি দিচ্ছি। ফ্লাইট বন্ধের বিষয় অবহিত করতে।’ আবাহনী এএফসি’র পাশাপাশি নেপালকেও বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়ে রাখছে।

ঢাকা আবাহনীর ম্যাচটি ছিল ১৪ এপ্রিল ঢাকায়। বাংলাদেশে লকডাউন থাকায় এএফসি ম্যাচটি ২১ এপ্রিল নিরপেক্ষ ভেন্যু অথবা মালদ্বীপে গিয়ে খেলার নির্দেশনা দেয়। ২১ এপ্রিল নেপালে আয়োজনের প্রস্তুতিও নিয়েছিল আবাহনী। গতকাল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা আসায় ২১ এপ্রিলও ম্যাচ খেলা হচ্ছে না আবাহনীর। ফলে বড় এক অনিশ্চয়তার মধ্যেই পড়ল ঢাকা আবাহনী ও মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলসের ম্যাচটি।
 
এএফসির কাছে শুধু মাত্র আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের বিষয়টি জানাচ্ছে আবাহনী। কোনো নির্দেশনা বা প্রস্তাবনা রাখছে না। তবে আবাহনী ম্যানেজার আগামী মে মাসে চূড়ান্ত পর্বের আগেই খেলাকে সর্বোত্তম মনে করছেন, ‘আমরা এএফসি’র অপেক্ষায় আছি। দেখি তারা কোন পথ দেখায়। ১৪ মে থেকে চূড়ান্ত পর্ব। এর এক সপ্তাহ আগে প্লে অফ বা বাছাইয়ের ম্যাচগুলো মালদ্বীপে হলে সেটা হবে সর্বোত্তম। উত্তীর্ণ দল কয়েকদিন থেকে চূড়ান্ত পর্বে খেলবে আর বাকি দল দেশে ফিরে যাবে।’ 

আবাহনীর পর্তুগীজ কোচ ম্যারিও ল্যামোস তার প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেন, ‘আমার দল প্রস্তুত। ছেলেরা খেলার জন্য মুখিয়ে। খেলা পেছাতে থাকলে ও অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকলে মানসিক চাঙা ভাব তো একটু কমই। আমি আশাবাদী খেলা যখনই হোক আমরা চূড়ান্ত পর্বে খেলব।’
 
আবাহনী গত আসরে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টসের বিরুদ্ধে প্লে অফে অ্যাওয়ে গোলের হিসাবে হেরেছিল। গত আসরের মতো এই আসরেও চূড়ান্ত পর্বে খেলবে বসুন্ধরা কিংস। ১৪-২০ মে মালদ্বীপের মালেতে হবে চূড়ান্ত পর্বের খেলা। 

এজেড/এটি