নেইমারদের হারিয়ে ফাইনালের আশা গার্দিওলার সিটির
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে লড়াইটা ছিল মূলত নেইমার-এমবাপে আর দল ম্যানচেস্টার সিটির। সেখানে দলটা শুরুতেই গেল পিছিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েই জিতল ম্যানচেস্টার সিটি। পিএসজির বিপক্ষে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলের এ জয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে রইল কোচ পেপ গার্দিওলার দল।
দ্বিতীয় মিনিটে পিএসজিকে দারুণ এক সুযোগই দিয়েছিল পেপ গার্দিওলার দল। তবে সে যাত্রায় নেইমারের দুর্বল শট এগিয়ে যেতে দেয়নি ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের। এরপরই খানিকটা ধাতস্থ হয়ে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় চাপ বাড়াতে থাকে সিটি। তবে সে চাপ সামলাতে সময় নেয়নি পিএসজি। উল্টো ১৩ মিনিটে এক আক্রমণ থেকে পায় কর্নার।
বিজ্ঞাপন
সেখান থেকেই আসে প্রথম গোলটা। কাছের পোস্টে করা নেইমারের কর্নারটা দারুণ এক হেডারে প্রতিপক্ষ জালে জড়ান পিএসজি অধিনায়ক মারকিনিয়োস। এর আগে বায়ার্নের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে গোল পেয়েছিলেন, এর আগে গেল মৌসুমেও সেমিফাইনাল আর কোয়ার্টারে পেয়েছিলেন জালের দেখা।
এরপর পিএসজি ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছে বেশ কয়েকটা। ২২ মিনিটে আনহেল ডি মারিয়ার পাস থেকে নেইমার বলটা ঠিকঠাক আয়ত্বেই আনতে পারেননি। সুযোগ এসেছিল সিটির সামনেও। ৪২ মিনিটে ফিল ফোডেন ফাঁকায় থেকে শট করলেও শটটা ঠেকিয়ে পিএসজির এক গোলের লিড ধরে রাখতে সহায়তা করেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
বিরতির পর আর সেটা পারেননি নাভাস। উল্টো ৬৪ মিনিটে প্রথম গোলটা যে এল, তাতে তার দায়টাই যে সবচেয়ে বেশি! কেভিন ডি ব্রুইনা বা দিক থেকে লম্বা করে বাড়িয়েছিলেন ক্রস। ক্রস মনে করেই হয়তো, নাভাস শটটা দিলেন ছেড়ে। সবার ওপর দিয়ে গিয়ে বলটা বাঁক নিয়ে গিয়ে জড়াল জালে। ম্যাচে ১-১ সমতাও ফেরে তাতে।
বিজ্ঞাপন
৭১তম মিনিটে পিছিয়েই পড়ে পিএসজি। রিয়াদ মাহরেজের ফ্রি কিক রক্ষণ দেয়ালের ফাঁক গলে নাভাসকে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে। ম্যাচের শুরুতে এক গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষমেশ ২-১ গোলে পিছিয়ে যাওয়া, এ ধাক্কা এরপর আর সামলাতে পারেনি পিএসজি। উল্টো ৭৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখে দলকে আরও বিপদে ফেলেন ইদ্রিসা গেই। ইলকায় গুন্দোয়ানকে পেছন থেলে ফাউল করেই লাল কার্ড দেখেন তিনি। ফলে ২-১ ব্যবধানের হার নিয়ে নেইমাররা ছাড়েন মাঠ। আর সিটি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে প্রতিপাক্ষের মাঠে তুলে নেয় টানা ১৮তম জয়।
তবে কোচ পেপ গার্দিওলা এখনই উদযাপন করতে নারাজ। খেলোয়াড়দের জানিয়েছেন, এখনই উদযাপনের প্রয়োজন নেই আদৌ। কারণ আছে বৈকি, ঘরের মাঠে পারফর্ম্যান্স বাজে হলেও পিএসজির অ্যাওয়ে ফর্ম যে বেশ ভালো। শেষ ষোল আর আটে বার্সা-বায়ার্নকে যে হারিয়েছিল তাদেরই মাঠে! আগামী মঙ্গলবার নিজেদের এতিহাদ স্টেডিয়ামে যখন ফিরতি লেগ খেলতে মাঠে নামবে গার্দিওলার দল, একটু বাড়তি সতর্কতাও কি সঙ্গী হবে না দলটির?
এনইউ