রোমান সানার পর টোকিও অলিম্পিক নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের ইংল্যান্ড প্রবাসী সাঁতারু জুনাইনা আহমেদের। রোমান সানা নিজ যোগ্যতায় সরাসরি অলিম্পিকে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলেও জুনাইনারা অবশ্য ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে। তবে চমক হিসেবেই তিনি থাকছেন বাংলাদেশ দলে।

বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন ও সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের সাতারুদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে বলেন, ‘জুনাইনা একটি বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছে। সেই চ্যাম্পিয়নশিপে টাইমিংয়ের ভিত্তিতে তাকে নির্বাচিত করেছে। জুনাইনার অলিম্পিক নিশ্চিতের বিষয়টি ফিনা থেকে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনকে জানিয়েছে। অলিম্পিক সাঁতার ফেডারেশনকেও জানিয়েছে।’

আরেকটি ওয়াইল্ড কার্ড আসছে। সেই ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই সাঁতারু আরিফুল ইসলাম ও জুয়েল। তবে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামকেই টোকিও অলিম্পিকে দেখছেন, ‘আমরা আরেকটি ওয়াইল্ড কার্ড পাব। এটি আরিফেরই পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সে অলিম্পিকেরই বৃত্তির আওতায় ফ্রান্সে প্রশিক্ষণে (এখন অবশ্য ঢাকায় )।’

সাঁতারে দুইটি ওয়াইর্ল্ড কার্ড পাচ্ছে বাংলাদেশ। গেমসের অন্যতম আকর্ষণ অ্যাথলেটিক্সে অবশ্য একটি’র বেশি পাচ্ছে না। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সদস্য ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন আমাদের জানিয়েছে তারা একটি কার্ড বরাদ্দ করবে আমাদের জন্য। আমাদের তিনটি নাম দেয়া রয়েছে। তিন জনের মধ্যে একজন নির্বাচন ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনই করবে।’ দ্রুততম মানব মানবী শিরিন আক্তার, ইসমাইলের পাশাপাশি ২০০ মিটারে যুব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সেমি-ফাইনালে খেলা জহির রায়হানের নাম রয়েছে তিন জনের মধ্যে।

অলিম্পিকে সাঁতার ও অ্যাথলেটিক্স বাদে অন্য ডিসিপ্লিনের ওয়াইর্ল্ড কার্ড আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি নির্ধারণ করে। সাঁতার ও অ্যাথলেটিক্সের ওয়াইল্ড কার্ড স্ব স্ব আন্তর্জাতিক ফেডারেশন দিয়ে থাকে।

২০১৯ সালে হল্যান্ডে বিশ্ব আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপে আরচ্যার রোমান সানা রিকার্ভ এককে টোকিও অলিম্পিকস নিশ্চিত করেন। তাই ওয়াইল্ড কার্ডে পুরুষ আরচ্যারদের জন্য আর আবেদন করতে পারেনি বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন। বিউটি রায়, ইতি খাতুন, মেহনাজ মনিরাদের মধ্যে একজনের ওয়াইল্ড কার্ড পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। কারাতে, বক্সিং ও ভারত্তোলনে ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে এই তিন ডিসিপ্লিন থেকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার সম্ভাবনা কম। 

তবে শ্যূটিং থেকে ওয়াইল্ড কার্ড আসবে। সেক্ষেত্রে আব্দুল্লাহ হেল বাকী, শাকিল ,দিশার মধ্যে কার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় সেটাই দেখার বিষয়। মে’র প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশে কারা প্রতিনিধিত্ব করবেন এটা নিশ্চিত হওয়া যাবে পুরোপুরি।

জুনাইনা আহমেদ টোকিও অলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করতে পারলে সাইক সিজারের পর দ্বিতীয় প্রবাসী ক্রীড়াবিদ হিসেবে অলিম্পিক খেলবেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাইক সিজার ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকস খেলেছিলেন। গত বছর করোনা ভাইরাসের জন্য স্থগিত হয় টোকিও অলিম্পিক। এই বছর ২৩ জুলাই থেকে যে কোনো মূল্যে গেমস করার আশাবাদ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির। 

এজেড/এটি/টিআইএস