আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ২০ কোটি অনুসরণকারীর মাইলফলক ছুঁয়েছেন। তবে এরপর এ উপলক্ষ্য উদযাপন তো দূরের কথা, বার্সা অধিনায়ক তার ভক্তদের উদ্দেশ্যে দিলেন ব্যতিক্রমী এক আহ্বানই। কারণটা অবশ্য বেশ মহান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধেই তার এই অবস্থান। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবাদ ও বৈষম্যমূলক আচরণ অবশ্য নতুন কিছু নয় আদৌ। যে কারণে ইংলিশ ফুটবল ক্লাবগুলো টুইটার, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামকে চার দিনের জন্য বয়কট করেছে। তাদের এ প্রতিবাদ মূলত প্রভাবিত করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকেও, আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নতুন করে ভাবাবে তাদের।

২০ কোটি অনুসরণকারী ছাড়ানোর পর মেসিও সংহতি জানালেন প্রিমিয়ার লিগের এই পদক্ষেপে। ভক্তদেরকে বললেন বর্ণবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাজে ব্যবহারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।

কি বলেছেন মেসি?
যে ইনস্টাগ্রামে ২০ কোটি অনুসরণকারীর মাইলফলক ছুঁয়েছেন মেসি, সেই ইনস্টাগ্রামেই তিনি এক পোস্ট দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘আমি দেখেছি যে, আমার ইনস্টাগ্রামের অনুসরণকারীর সংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। তবে আজ যা ঘটে চলেছে, তাতে আমি এ উপলক্ষ্যটাকে উদযাপন করার কথা ভাবতেই পারছি না।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বয়কট কারা করেছে? কেন করেছে?

শুরুটা করে ইংলিশ ক্লাবগুলো। খেলোয়াড়দের প্রতি ধেয়ে আসা বর্ণবাদী আচরণের জবাবে তারা এ বয়কটের ডাক দেয়। এরপর উয়েফা সম্প্রতি প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব, ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, ইংলিশ ফুটবল লিগ, ও উইমেন্স সুপার লিগের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বয়কটে যোগ দিয়েছে। এর আগেই ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন এতে যোগ দেয়। গত শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত চলবে এই বয়কট কর্মসূচি। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে এই সমস্যা সমাধানে ভালোভাবে পদক্ষেপ গ্রহণে ভাবানোর পাশাপাশি এই বয়কটের আরও একটা উদ্দেশ্য আছে। বয়কটকারীরা যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ‘অনলাইন সেফটি বিল’ প্রণয়নের দাবিও জানিয়েছে। 

এনইউ/এটি