গোল-উৎসবে শিরোপাজয় রাঙাল বায়ার্ন-ইন্টার
টানা নয় বার শিরোপাজয়। বায়ার্ন মিউনিখের লিগ জয় উদযাপনের বিশেষ টি শার্টেও রইল তার ছাপ/
শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল মাঠে নামার আগেই। এরপর মাঠে নেমে শিরোপাজয়ীরা করল একগাদা গোল, তাতে রঙিন হলো শিরোপার উৎসবটাও। প্রায় পাঁচশ কিলোমিটার এদিক ওদিকের মিলান আর মিউনিখ দেখল একই চিত্র। মিলান নিজেদের ম্যাচে ৫-১ গোলে হারিয়েছে সাম্পদোরিয়াকে। বায়ার্ন বরুসিয়া মুনশেনগ্লাডবাখের জালে গোল করেছে একটি বেশি, হজম করেনি একটিও।
দিনের প্রথম ম্যাচে লাইপজিগ হেরে গিয়েছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে। ফলে টানা নবম আর রেকর্ড ৩১তম বারের মতো শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার আনন্দ নিয়েই মাঠে নামে কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
বিজ্ঞাপন
তবে আরেকটা হিসেবও যেন বাকি ছিল দলটির, সেটাও যেন মেটালেন তারা। লিগের প্রথম দেখায় দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও তারা হেরেছিল ৩-২ গোলে। তারই শোধ যেন তুলল বায়ার্ন।
শুরুটা হয় কিক অফের একটু পরেই। দুরূহ কোণ থেকে গোলটা করেন রবার্ট লেভান্ডভস্কি। ২৩ মিনিটে থমাস মুলার ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৩৪ মিনিটে লেভার আঘাত আবারও। দারুণ এক ভলিতে গোলটি করেন পোলিশ স্ট্রাইকার। এরপর ৪৪তম মিনিটে রবার্ট লেভান্ডভস্কি বনে গেলেন যোগানদাতা, তার পাস থেকে গোল উৎসবে শামিল হন কিংসলে কোম্যান।
বিজ্ঞাপন
৬৫ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ হয় লেভার। গ্লাডবাখ ডিফেন্ডারের হ্যান্ডবলের দোষে পাওয়া পেনাল্টিটি দারুণভাবে কাজে লাগান বায়ার্ন স্ট্রাইকার, চলতি লিগের ৩৯তম গোলটিও হয়ে যায় তাতে।
বুন্ডেসলিগা রেকর্ডের আরও কাছে চলে এসেছেন তিনি। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে জার্ড মুলারের করা ৪০ গোলের কীর্তি ছুঁতে তার চাই আর এক গোল, দুই ম্যাচে মাত্র দুই গোল করলেই ভেঙে ফেলবেন রেকর্ডটা।
বায়ার্ন মাঝে লাল কার্ডের কাটায় দশ জনে পরিণত হলেও খেলায় এর ছাপ পড়েনি। উল্টো ৮৫ মিনিটে লেরয় সানের গোলে ৬-০ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন।
ইতালিয়ান লিগে ইন্টারের শিরোপা অবশ্য নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগের রাউন্ডেই। ১১ বছর পর শিরোপা জেতার পর দলটি প্রথমবারের মতো মাঠে নামে এদিন। বায়ার্নের মতো তাদেরও গোলের অপেক্ষা করতে হয়নি খুব একটা, ৪ মিনিটেই রবার্তো গ্যালিয়ার্দিনির গোলে এগিয়ে যায় তারা। ২৬ আর ৩৬ মিনিটে দশ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে ম্যাচটা সাম্পদোরিয়ার ধরাছোঁয়ার বাইরেই নিয়ে যায় কোচ আন্তনিও কন্তের ইন্টার। এরপর আন্দ্রেয়া পিনামন্তি ও অ্যালেক্সিস সানচেজের লক্ষ্যভেদে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে নেরাজ্জুরিরা।
এনইউ