কোচিং ক্যারিয়ারের প্রথম ইতালিয়ান কাপ ট্রফি নিয়ে পিরলো/গেটি ইমেজ

কোচ আন্দ্রেয়া পিরলোর প্রথম মৌসুমটা মোটেও ভালো কাটেনি। লিগ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ব্যর্থতার পর চোখ রাঙানি দিচ্ছিল নিষ্ফলা এক মৌসুমও। সে শঙ্কাকে অবশ্য ভালোভাবেই উড়িয়ে দিয়েছে দলটি, কাপ ফাইনালে আটালান্টাকে হারিয়েছে ২-১ গোলে। নিজের জন্মদিনেই তাই কোচিং ক্যারিয়ারের প্রথম ইতালিয়ান কাপ শিরোপার ছোঁয়া পেয়ে গেলেন কোচ পিরলো। 

কোপা ইতালিয়ার ইতিহাসের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী দল জুভেন্তাস। সেই প্রতিযোগিতার ফাইনালের আগে তো দলটার দারুণ নির্ভারই থাকার কথা। কিন্তু চলতি মৌসুমের ফর্ম আর শেষ দুই মৌসুমের ব্যর্থতা চোখ রাঙানি দিচ্ছিল পা হড়কানোর। সেটা হলে চলতি মৌসুমটা বড় কোনো শিরোপা না জিতেই শেষ করত দলটা। 

লিগ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোটেও আশানুরূপ পারফর্ম্যান্স দিতে পারেননি রোনালদোরা। ইউরোপসেরার মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছেন দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে। এরপর লিগে তো রীতিমতো শীর্ষ চার নিয়েই টানাটানি। প্রতিপক্ষ আটালান্টা বলে শঙ্কাটা বেড়ে গিয়েছিল আরও। সিরি’আয় প্রথম দেখায় ১-১ ড্রয়ের পর ফিরতি লেগে আটালান্টায় ১-০ গোলে হেরেছিল দলটা।

এরপর শুরুতেই পড়েছিল বিপদে। পালেমিনোর শটটা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন ঠেকান কোনোক্রমে। এর মিনিট দুয়েক পর দুভান জাপাতা জুভেন্তাস বিপদসীমায় জর্জিও কিয়েলিনিকে দারুণভাবে ছিটকে শট নেন, তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। 

বাজে শুরুর পর জুভেন্তাস এরপরই নিজেদের গুছিয়ে নেয়। বলের দখল রাখার সুফলটা আসে ৩১ মিনিটে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় এসে বল হারালেও জুভেন্তাস এগিয়ে যায় দেয়ান কুলুসেভস্কির গোলে। এরপর আটালান্টাও সমতা ফেরাতে সময় নেয়নি খুব একটা। বক্সের মুখ থেকে দারুণ এক শটে স্কোরলাইন ১-১ করেন ইউক্রেনের মিডফিল্ডার মালিনভস্কি।

বিরতির পর ধার বাড়লেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না জুভেন্তাস। ৬০ মিনিটে ফেদেরিকো চিয়েসার শট ফেরে পোস্টে লেগে। তবে ম্যাচের বয়স যখন ৭০ মিনিট, তখনই জয়সূচক গোল পায় জুভেন্তাস, এই চিয়েসার চেষ্টাতেই।

প্রথম গোলের নায়ক কুলুসেভস্কির সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে চিয়েসা ঢুকে পড়েন আটালান্টা বক্সে। গোলরক্ষককে একা পেয়ে গোলটি করেন তিনি। এর ফলেই নিশ্চিত হয় দলটির ১৪তম ইতালিয়ান কাপ শিরোপা। পিরলো পেয়ে যান কোচিং ক্যারিয়ারের প্রথম ইতালিয়ান কাপের দেখা, তাও নিজের জন্মদিনেই। মঞ্চটা এর চেয়ে ভালো আর কিইবা হতে পারত তার?

এনইউ