চলতি মৌসুমে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে খুবই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছিলেন ডিফেন্ডার রেজাউল করিম। এরপরও জাতীয় দলের ব্রিটিশ হেড কোচ জেমি ডের নজর কাড়তে পারছিলেন না তিনি। অবশেষে কাতার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের জন্য ডাক পেলেও শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত দলের আগেই বাদ পড়ে গেলেন। রেজার বাদ পড়ার কারণ একেবারেই ব্যতিক্রম। 

কোনো পারফরম্যান্স বা ইনজুরি নয়। পাসপোর্ট প্রস্তুত না থাকায় বাদ পড়েছেন এই ডিফেন্ডার। জাতীয় দলের ব্রিটিশ হেড কোচ জেমি ডে পাসপোর্ট জনিত সমস্যার জন্য রেজাকে চূড়ান্ত সফরসঙ্গী করতে পারছেন না। রেজা তার পাসপোর্টের বিষয়টি ফেডারেশনকে অবহিত করলেও লকডাউনের জন্য ফেডারেশন রেজার পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারেনি। 

রেজার মতো পাসপোর্ট জনিত সমস্যার জন্য এএফসি কাপে রেজিস্ট্রেশনই করতে পারেননি কিংসের এলিটা কিংসলে। নাইজেরিয়ান থেকে বাংলাদেশি হলেও জাতীয় নিবন্ধন ও পাসপোর্ট না হওয়ায় তিনি ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচেই কিংসের হয়ে খেলতে পারছেন না।
 
জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড ইব্রাহিম করোনা পজিটিভ অবস্থায় রয়েছেন। তাকে ছাড়াই রওনা হচ্ছে বাংলাদেশ দল। রেজার মতো তার সম্ভাবনা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। করোনা নেগেটিভ হলে ইব্রাহিম জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য দেশ ছাড়বেন ২৮ মে। 

২৬-২৯ মের মধ্যে সৌদির দাম্মামে স্থানীয় কোনো দলের বিরুদ্ধে একটি বা দুইটি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে জামালদের। সৌদির দাম্মাম থেকে ৩০ মে কাতারের দোহার উদ্দেশ্যে আবার রওনা হবে ফুটবলাররা। 

জেমি ডে ২৪ সদস্যের দল নিয়ে সৌদি আরব যাচ্ছেন। তাকে চূড়ান্ত স্কোয়াড গড়তে তেমন সমস্যায় পড়তে হয়নি। অনুর্ধ্ব ২৩ দলের পাচ জন সহ মোট ৩৩ জন ক্যাম্পে ডেকেছিলেন জেমি। অনুর্ধ্ব ২৩ দলের কাউকে চূড়ান্ত দলে ডাকেননি। ২৮ জনের মধ্যে বিশ্বনাথ ক্যাম্পেই আসেননি। আজ সাদ ক্যাম্প ছেড়েছেন ও রেজা পাসপোর্টের জন্য বাদ পড়ায় জেমির চূড়ান্ত দল গড়া খুবই সহজ হয়েছে। 

আগামীকাল সকালে জাতীয় দলের ফ্লাইট। এজন্য দুপুরের দিকেই করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে ফুটবলাদের। কালকের ফ্লাইটের জন্য মূলত আজ বিকেলে অনুশীলন করায়নি জেমির শিষ্যরা। এর পরিবর্তে হোটেলে সুইমিং ও অনুশীলন করে সময় কেটেছে ফুটবলারদের।
 
এজেড/এমএইচ