ফেয়ার প্লে বলে কিছু নেই, দাবি আবাহনী কোচের
সংবাদ সম্মেলনে আবাহনীর পর্তুগীজ কোচ ম্যারিও ল্যামোস। ছবি : বাফুফে
ঢাকা আবাহনী ও উত্তর বারিধারা ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল ফেয়ার প্লে। সংবাদ সম্মেলনে প্রথমে আসেন বারিধারার কোচ মিলন। তিনি আবাহনীর গোলকে ফেয়ার প্লে’র কাঠগড়ায় দাঁড় করান।
বারিধারা কোচের পর্ব শেষ হওয়ার পর আবাহনীর পর্তুগীজ কোচ ম্যারিও ল্যামোসকে ফেয়ার প্লে ইস্যুতেই বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। এই বিষয়টিকে রীতিমতো পাত্তাই দেননি তিনি। পৃথিবীতে ফেয়ার প্লে বলতে কিছু নেই দাবি করেছেন আবাহনী কোচ।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘আসলে ফেয়ার প্লে বলে কিছু নেই পৃথিবীতে। আমরা গোল না করতে পারলে ফেয়ার প্লে বিষয়টি আলোচনাই হতো না। আমরা গোল করেছি এবং তারা হেরেছে এজন্যই ফেয়ার প্লে বিষয় এসেছে।’
দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়ে মাত্র ১-০ গোলে জিতলেও তৃপ্ত আবাহনী কোচ, ‘জয়টা খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে যেতে পারতো। সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা জিতেছি এবং সেমিফাইনালে উঠেছি। এটাই আমার কাছে অর্জন।’
উত্তর বারিধারা অনেক কম বাজেটের দল। রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করে তারা আবাহনীকে প্রায় রুখেই দিয়েছিল। ম্যাচশেষে প্রতিপক্ষের ফুটবলার ও কোচের কৌশলের প্রশংসা করেছেন আবাহনী কোচ।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘বারিধারার কোচ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরা কৌশলই সাজিয়েছে। আমি বারিধারার কোচ হলে সেটাই করতাম। বারিধারার মিশরীয় ফুটবলার (মুস্তফা) অসাধারণ। তাকে থামানো খুবই কঠিন। মৌসুমের সেরা ফুটবলার হতে পারে সে।’
প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকা ম্যাচ নিয়ে পর্তুগীজ কোচ ল্যামোস খুবই চিন্তিত ছিলেন, ‘ড্রেসিরুমে আমি ফুটবলারদের বলেছি গত মৌসুমে কোয়ার্টার থেকে বিদায় নিয়েছি, এবার তা চাই না। দয়া করে গোল করো।’
৭ জানুয়ারি সেমিফাইনালে ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস।
এজেড/ এমএইচ