ফাইল ছবি

ঘরোয়া ফুটবলে সাইফ স্পোর্টিংয়ের পথচলা তিন বছরের একটু বেশি। অপেশাদারভাবে চলা বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে খানিকটা ভিন্নতা এনেছে তারা। কোচিং স্টাফ, খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা সব কিছুই পেশাদার আঙ্গিকে। পেশাদারভাবে সব কিছু করলেও সেই অনুযায়ী সাফল্য পায়নি সাইফ স্পোর্টিং।
 
এবার সেই খরা কাটানোর অনেকটা কাছাকাছি দেশের ফুটবলে নতুন এই ক্লাবটি। প্রথমবারের মতো ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে সাইফ স্পোর্টিং। চট্টগ্রাম আবাহনীকে বুধবার শেষ চারের ম্যাচে হারাতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত ফাইনাল।
 
সোমবার সকালে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটির (ইউআইইউ) মাঠে অনুশীলন শেষে সাইফের বেলজিয়ান কোচ পল পুট বলেন, ‘আমরা ফাইনাল খেলতে চাই। এখন পর্যন্ত সঠিক পথেই আছি। সেমিফাইনালের জন্য খেলোয়াড়দের বাড়তি চাপ নিতে বারণ করেছি।’
 
সাইফ স্পোর্টিংয়ের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কেনেট চার গোল করে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা। এরপরও সেমিফাইনালে কেনেট বাজির ঘোড়া হিসেবে প্রকাশ করলেন না পল, ‘সে আমাদের অন্যতম খেলোয়াড়। কিন্তু আমরা কখনোই তার ওপর নির্ভরশীল না। আমাদের দলের যে কেউ গোল করতে সক্ষম এবং জয়ের পেছনে সবার সমান অবদান। কোচ হিসেবে আমার কাছে সকল খেলোয়াড়ই সুপারস্টার।’
 
চট্টগ্রাম আবাহনী কোয়ার্টারে শক্তিশালী শেখ রাসেলকে হারিয়েছে। তাই খানিকটা সতর্ক অবস্থানেই থাকছেন সাইফের বেলজিয়ান কোচ, ‘আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তবে তারা যথেষ্ট ভালো দল এবং তাদের কোচও অনেক কৌশলী।’
  
সাইফ স্পোর্টিংয়ের ডিফেন্সের অন্যতম স্তম্ভ রহমত মিয়া। সাইফ স্পোর্টিংয়ের সামনে প্রথম ফাইনাল খেলার হাতছানি। এটাকে চাপ মনে করছেন না তিনি, ‘আমরা নতুন দল। অন্য দিকে চট্টগ্রাম আবাহনী অনেক পুরনো দল এবং তাদের দলে সিনিয়র ফুটবলারের সংখ্যাটাও বেশি। ফলে ম্যাচের চাপটা চট্টগ্রাম আবাহনীর উপরই বেশি থাকছে।’
 
আগামীকাল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ৭ জানুয়ারি। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১০ জানুয়ারি।

এজেড/ এমএইচ