কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচে মেসি/ফাইল ছবি

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীতে গলা মেলাতেন না বলে সে কী গঞ্জনাই না সইতে হয়েছে লিওনেল মেসিকে! সঙ্গে যখন যোগ হয় জাতীয় দলে তার ব্যর্থতা, তখন সে দুর্দশা বাড়ে পাল্লা দিয়ে। জাতীয় দলের প্রতি নিবেদন নিয়েও প্রশ্ন ওঠে বেশ। তবে আর্জেন্টাইন সুপার লিগ সেন্ট্রাল করদোবার কোচ গুস্তাভো সেলোনির মতে, এসব অবান্তর কুতর্ক। মেসির মতো আবেগ নিয়ে আর কেউ জাতীয় দলের হয়ে খেলেন না, জানিয়েছেন তিনি।

তিনি এখানেই থামেননি। দলের অন্যদের নিবেদন নিয়েই তুলেছেন খানিকটা প্রশ্ন। বলেছেন, ‘মেসি সে আবেগটা নিয়ে খেলে, তা অন্য খেলোয়াড়দের মাঝেও যদি দেখি, তাহলে খুব ভালো লাগবে আমার। কখনো কখনো মনে হতেই পারে যে একজন বেশি আবেগ নিয়ে খেলছে, অন্যরা তেমনটা নয়।’

মেসির জাতীয় দলের প্রতি তীব্র আবেগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এই আবেগটা হতে পারে দলের প্রতি নিবেদন, দাঁতে ছুড়ি চেপে ধরে লড়ার মানসিকতা কিংবা তীব্র ইচ্ছাশক্তি। মেসি একটা শিশুর মতো আবেগ নিয়ে খেলে, যা অন্যদের ক্ষেত্রে হয় বলে আমার মনে হয় না।’

দলের কথা বলতে গিয়ে আর্জেন্টাইন এই কোচ জানান, দলের রক্ষণাত্মকভাবে শক্তিশালী হওয়ার জন্য আরও কাজ করতে হবে কোচ লিওনেল স্ক্যালোনিকে। বলেন, ‘যদি আমি দলে থাকতাম, তাহলে রক্ষণাত্মক কাঠামো দাঁড় করানোর জন্য চেষ্টা করতাম। আক্রমণ থেকে বল হারালে আর বলের দখল ফিরে পাওয়া যাচ্ছে না।’

রক্ষণাত্মকভাবে শক্তিশালী হতে হলে কী করতে হবে, সে পদ্ধতিও বাতলে দিলেন তিনি। জানালেন, শেষ কিছু দিনে ক্লাবগুলোয় বেশ চর্চিত তিনজনের রক্ষণভাগের দিকে অভিমত তার।

বললেন, ‘তিন সেন্টারব্যাক নিয়ে খেলাটাকে আমি পছন্দ করি। অনেক দিন ধরেই আর্জেন্টিনায় এর ব্যবহার দেখছি না আমি। শেষ কিছু দিনে আমরা কেবল ২০ মিনিটের জন্য প্রতিপক্ষকে ভয়ে রাখতে পারছি, এটা আমাদের জন্য বেশ অপমানের।’

কোপা আমেরিকায় নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আর্জেন্টিনা আগামীকাল সকালে নামবে মাঠে। উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টায়।

এনইউ