বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার আগামী আগস্ট মাস থেকে শুরু হওয়ায় সেপ্টেম্বরের সাফ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

গত বছর দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়নি করোনাভাইরাসের কারণে। গত আসরটি এবার সেপ্টেম্বরেই বাংলাদেশে হওয়ার কথা। একে তো করোনাভাইরাসের চোখ রাঙানি, অন্যদিকে আজ (সোমবার) নতুন এক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হলো। ৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম পাচ্ছে না বাফুফে। বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে না হওয়ায় আরও বেশি অনিশ্চয়তা তৈরি হলো। 

দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্ট বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে না হলে জেলা পর্যায়ের কোনো স্টেডিয়ামে আয়োজন অনেকটা কঠিনই। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আবার সাফেরও সভাপতি। সাফ সভাপতি হিসেবে ভেন্যু নিয়ে এখনই ভাবতে চান না, ‘ঢাকার বাইরেও আরো কয়েকটি ভেন্যু রয়েছে। সেখানে প্রয়োজনে আয়োজন হবে। তবে এখনই ভেন্যু নিয়ে ভাবছি না।’ 

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ফুটবলের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন প্রসঙ্গে বলেন, ‘চট্টগ্রাম আবাহনী চট্টগ্রামে শেখ কামাল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল। বিদেশি ক্লাবগুলো সেই টুর্নামেন্ট অংশগ্রহণ করেছিল। টুর্নামেন্টটি বেশ সফলই হয়েছিল।’ 

আন্তর্জাতিক ক্লাব টুর্নামেন্ট জেলা শহরে হলেও সাফের মতো আসর জেলা শহরে আয়োজন করাটা বেশ কঠিনই।

দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। ভারতে সংক্রমণ ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ। বাংলাদেশেও এখন সংক্রমণ বাড়ছে। সাফ আয়োজনে করোনাকেও একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘করোনার এই সময়ের মধ্যে করোনার জন্য ভারত ও আরো কিছু দেশ এখনো অংশগ্রহণের পুরোপুরি নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।’ 

সাফ সভাপতি এটি বললেও প্রকৃত অর্থে ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল সাফের জন্য প্রস্তুতি নিতে চায়, শুধু সাফের আনুষ্ঠানিক সূচির অপেক্ষায়। করোনা ইস্যুর পাশাপাশি ভেন্যু সংকট তৈরি হওয়ায় সাফের নির্বাহী সভা ডাকছেন সভাপতি, ‘সাফের নির্বাহী কমিটিতে আমি আলোচনা করব। এরপর সাফের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাব।’ 

এজেড/টিআইএস