লিওনেল মেসি/ফাইল ছবি

পেশাদারি ফুটবলের ব্যস্ততা বলে কথা। বিশ্রামের সময়ই থাকে না। ক্লাব ফুটবলের পরই যখন জাতীয় দলের সূচি যোগ হয় তখন তো দম ফেলার সুযোগ পান না ফুটবলাররা। এখন যেমনটা হয়েছে ইউরোপ আর লাতিন আমেরিকার ফুটবলারদের। এক যোগেই চলছে ইউরো আর কোপা আমেরিকা। টানা খেলায় ক্লান্তি ভর করেছে। লিওনেল মেসির অবস্থাটাও হয়েছে তেমন। দু চোখে রাজ্যের ক্লান্তি। কিন্তু উপায় যে নেই। লড়ে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনার হয়ে।

এ কারণেই কিনা বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচের আগে গুঞ্জন ছিল বিশ্রামে থাকতে পারেন মেসি! প্রথম একাদশে তার থাকার সম্ভাবনাও ছিল কম। টানা খেলার কারণে নাকি মেসিকে বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলেন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। 

যদিও আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমের সেই খবর মিথ্যে প্রমাণিত হয়। মেসিকে রেখেই ঘোষণা করা হয় দল। সঙ্গে সার্জিও আগুয়েরো আর আনহেল ডি মারিয়া। আক্রমণভাগটা ছিল বেশ সংহত। মেসি খেললেন পুরোটা সময়। তারপরও অবশ্য প্যারাগুয়ের বিপক্ষে দল জিতল মাত্র ১-০ গোলে। এই ম্যাচে মাঠে নেমেই আর্জেন্টিনার জার্সিতে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড স্পর্শ করেন মেসি।

ক্লান্ত মেসিকে কেন খেলানো হলো ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিট? উত্তরে অবশ্য কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি জানিয়ে দিলেন, মেসি ক্লান্ত তবে দলের দায়িত্ব নিতে একটুও অনীহা নেই আর্জেন্টাইন ক্যাপ্টেনের, ‘লিওনেল প্রতিটি ম্যাচ খেলছে। সত্যি বলতে কি ওর ওপর নির্ভর না করাটাও কঠিন। কারণ ও দলের সেরা ফুটবলার।’

কথাটা একেবারে মিথ্যে নয়। এবারের কোপায় প্রথম দুই ম্যাচের সেরা তো মেসিই। প্রথমটিতে চিলির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র। এরপর উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়। দুটোতেই সেরা মেসি। স্ক্যালোনি বলছিলেন ‘এটা আসাকে বলতেই হবে-লিওনেল (মেসি) এখন অনেক ক্লান্ত। কিন্তু প্রতিদিনই ব্যবধান গড়ে দিচ্ছে। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আজ (মঙ্গলবার) বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছিলাম আমরা। আমাদের মনে হয়েছে এটিই সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে ভাগ্যটাও সঙ্গে ছিল পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পেয়েছি আমরা। এখনও অনেক উন্নতির সুযোগ রয়েছে আমাদের।’

উরুগুয়ের বিপক্ষে জয়ী একাদশের ৬ খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে শুরুর একাদশ গড়েন আর্জেন্টাইন কোচ। তার সেই কৌশলটা কাজেও দিল। হাসি মুখে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা পা রাখলেন কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে।

এটি/এনইউ