করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কঠোর লকডাউন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স থাকে সব সময় সরব। সেই কমপ্লেক্স বেশ নীরবতা। গমনাগমনে প্রচুর কড়াকড়ি। এই বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে আজ (বৃহস্পতিবার) প্রথম ম্যাচ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে চলছে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। 

বৃষ্টি ভেজা ভারি মাঠে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে (ফুটবলে) ঢাকা আবাহনী ও চট্টগ্রাম আবাহনী দুই দলের লড়াইয়ে ঢাকা আবাহনী ২-০ গোলে জিতলেও প্রকৃত অর্থে জয় কাদা মাঠেরই। দুই দলের কেউই স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারেনি। ম্যাচ শেষে ফুটবলারদের চেনার উপায় কোথায়? কাদা মাখা জার্সির রঙটাও ততক্ষনে ধূসর। চেনার উপায় নেই কত নাম্বার জার্সি খেলেছেন কে।

ম্যাচের আবাহনী ৩৪ মিনিটে ম্যাচ লিড নেয়। রাফায়েল আগুস্তোর ক্রসে সানডে চিজোবার নিখুত ফিনিশিং এ লিড নেয় আকাশী হলুদরা। প্রথমার্ধ ১-০ গোলেই শেষ হয়। দেশের ফুটবলের অন্যতম সেরা কোচ মারুফুল হক টেকনিক্যাল এরিয়াতে সাধারণত শান্ত মেজাজে থাকলেও আজ খানিকটা উত্তেজিত ছিলেন। 

বাজে মাঠে রেফারিং ও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স মিলে তাকে অসন্তুষ্ট মনে হচ্ছিল। চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যাচে গোলের সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি। উল্টো ৫২ মিনিটে আবাহনীর অভিজ্ঞ ফুটবলার মামুনুল ইসলাম গোলের ব্যবধান বাড়ান।
 
বাকি সময় শুধুই ম্যাচে ফেরার চেষ্টা বন্দর নগরীর দলটার। তাতে শুধু হতাশাই ছড়িয়েছে মারুফুক হক শিষ্যরা। অবশ্য স্বাভাবিক মাঠ থাকলে মারুফুল হক ম্যারিও ল্যামোসকে আরও চ্যালেঞ্জ দিতেন। কারণ আগের লেগে দুই দলের ফলাফল ১-১। 

এই জয়ে ১৭ ম্যাচে ঢাকা আবাহনী ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরার চেয়ে ১৩ পয়েন্ট পেছনে। সমান ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ২৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে। 

এজেড/এমএইচ