ওয়ার্ম-আপ সেশন : ‘ফেভারিট’ ইংল্যান্ডের অন্যরকম চ্যালেঞ্জ
ইংল্যান্ড-ইউক্রেন
রাত ১:০০টা, সরাসরি
সনি টেন ২ ও সনি সিক্স
গ্রুপ শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে নকআউটে, এরপর শেষ ষোলয় জার্মানিকে বিদায় করে দেওয়া। এমন সব কীর্তির পর শিরোপাটা এখন ভালোভাবেই নজরে আছে ইংল্যান্ডের। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন হতে এখন আর তিনটে ম্যাচ জেতা চাই তাদের। তার প্রথমটা খেলতে হবে আজ। প্রতিপক্ষ সহজ নয়, আন্দ্রেই শেভচেঙ্কোর বদলে যাওয়া ইউক্রেন।
তবে শেভার ইউক্রেনের চেয়েও বড় প্রতিপক্ষ বোধহয় তাদের ‘ফেভারিট’ তকমাটা। সাম্প্রতিক ফর্মটা পক্ষে থাকলেও জার্মানদের বিপক্ষে নড়বড়ে ইতিহাসের তাদেরকে কিছুটা পিছিয়েই রেখেছিল। কিন্তু সে পরিস্থিতি আজ নেই। ইউক্রেনের বিপক্ষে রাহিম স্টার্লিং, হ্যারি কেইন, আর জ্যাক গ্রিলিশদের ইংল্যান্ডকে ‘ফেভারিট’ না বলার কোনো উপায় নেই আপনার।
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেন নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো খেলছে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে। অন্যদিকে আজকের এই ম্যাচ দিয়ে চতুর্থবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালের চৌকাঠে পা পড়তে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের।
তবে এই কোয়ার্টার ফাইনালে এলেই যেন পা হড়কে যায় ইংল্যান্ডের। ইতিহাসে যতবার শেষ আটে খেলেছে থ্রি লায়ন্সরা, ততবারই খেলা গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। যার ভেতরে সেই ১৯৯৬ সালে স্পেনের বিপক্ষে জয়টা ছাড়া আর এ পর্ব থেকে উতরে যেতে পারেনি দলটি। ফলে ইতিহাসের এ চোখরাঙানি আজও থাকবে দলটির সামনে।
বিজ্ঞাপন
সঙ্গে যোগ করতে পারেন ফেভারিট হিসেবে দলটার নড়বড়ে স্বভাবকে, বিশেষত নকআউট লড়াইয়ে। এই সাউথগেটের অধীনে ২০১৮ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল ইংলিশরা। কিন্তু সেখানে শেষ ষোলয় কলম্বিয়া রীতিমতো পেনাল্টি শুটআউটেই নিয়ে গিয়েছিল দলটাকে। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও হেরেছিল। বেলজিয়ামের কাছে তৃতীয় স্থান নির্ধারণীতেও হেরেছে ২-০ গোলে। তিনটে ম্যাচেই ফেভারিটের খাতায় ফেলা হয়েছিল তখন আগুনে ফর্মে থাকা হ্যারি কেইনের ইংল্যান্ডকে।
সাম্প্রতিক ফর্ম আজকের ম্যাচেও ফেভারিটের খাতায় রাখছে ইংল্যান্ডকে। আজ রোমের এস্তাদিও অলিম্পিকোয় তাই বেশ বড় চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে থ্রি লায়ন্সদের জন্য।
শেভচেঙ্কোর অধীনে বদলে যাওয়া, টগবগে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে থাকা ইউক্রেনকেও ভুলে যেতে পারবেন না আপনি। গ্রুপপর্বে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছিল শেষ সময়ের গোলে। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে যে দলীয় একাত্মতা নিয়ে খেলেছে দলটি, সেটা উপেক্ষা করা চলে না মোটেও। সব মিলিয়ে ‘ফেভারিট’ ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনালে যেতে হলে অগ্নিপরীক্ষাই দিতে হবে আজ।
দলের খবর :
ইউক্রেন স্ট্রাইকার আর্তেম বেসডিন আগের ম্যাচেই মার্কাস ড্যানিয়েলসেনের কড়া ফাউলের শিকার হয়েছিলেন। লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় তিনি এই ম্যাচে তো খেলছেনই না, বছরটাই শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে তার।
ওলেকসান্দ্র জুবকভ কাফ মাসলের ছোট চোট থেকে ফিরেছেন, থাকতে পারেন একাদশেও। ডেনিস পপভ চোটের কারণে ছিটকে গেছেন দল থেকে।
আগের ম্যাচে জয়সূচক গোলটা করলেও আর্তেম ডভবিকের শুরুর একাদশে ঢোকা হচ্ছে না। আন্দ্রেই ইয়ারমোলেঙ্কো ও রোমান ইয়ারেমচুকের ওপরই ভরসা রাখতে পারেন কোচ শেভা।
ইংল্যান্ড মেসন মাউন্ট আর বেন চিলওয়েলকে করোনা শঙ্কায় পড়ে কোয়ারেন্টাইন করতে হয়েছিল। তা শেষে দলে ফিরেছেন দুজনে। তবে চিলওয়েলের একাদশে জায়গা নিয়ে আছে সন্দেহ। কারণ বাম পাশে লুক শ আছেন আগুনে ফর্মে।
বুকায়ো সাকার ফর্মের কারণে মাউন্ট অবশ্য ফিরতে পারেন একাদশে। তার সঙ্গে অবশ্যই একাদশে থাকবেন স্টার্লিং ও কেইন। আগের ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় ডেক্লেন রাইস ও কেলভিন ফিলিপস দুইজনকে নিয়েই আছে শঙ্কা। কোচ গ্যারেথ সাউথগেট তাই এদিন ভরসা রাখতে পারেন জর্ডান হেন্ডারসনের ওপর।
সম্ভাব্য একাদশ:
ইউক্রেন
বুশচ্যান;
জেবারনি, ক্রিভতসভ, মাটভিয়েঙ্কো;
কারাভায়েভ, সিডরচুক, শাপারেঙ্কো, স্টেপানেঙ্কো, জিনচেঙ্কো;
ইয়ারমোলেঙ্কো, ইয়ারেমচুক
ইংল্যান্ড
পিকফোর্ড;
ওয়াকার, স্টোনস, ম্যাগুয়ের;
ট্রিপিয়ের, রাইস, হেন্ডারসন, শ;
মাউন্ট, কেইন, স্টার্লিং
এনইউ/এটি