লিওনেল মেসি/টুইটার

ক্যারিয়ারে বহুবার বলেছেন, আমার সবকটা ব্যালন ডি’অরের বিনিময়ে হলেও একটা বিশ্বকাপ চাই। দলগত শিরোপাতে সবসময়ই মনোযোগ ছিল লিওনেল মেসির, সে কথা উচ্চকণ্ঠে আবারও জানালেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। 

গোল করেছেন, দিয়েছেন প্রথম দুই গোলের যোগান। আর্জেন্টিনার কোয়ার্টার ফাইনাল লড়াইয়ের নায়ক বনে গেছেন লিওনেল মেসি। ইকুয়েডরকে কোয়ার্টার ফাইনালে ৩-০ গোলে হারিয়ে আর্জেন্টিনাও পৌঁছে গেছে শেষ চারে। মেসি হয়েছেন ম্যাচসেরা, চলতি কোপা আমেরিকায় চতুর্থবারের মতো। 

তবে ব্যক্তিগত অর্জনের পরোয়া কবে করেছেন মেসি? দিনশেষে যে দলগত শিরোপাটাই তার ধ্যানজ্ঞান, সেটা অনেক বারই বলেছেন। বহুবার শোনা কথাটাই কোপা আমেরিকার শেষ চার নিশ্চিত করে আবার ঝরে পড়ল ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর কণ্ঠে। 

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, ‘আমি সবসময়ই বলি, ব্যক্তিগত সব অর্জন গৌণ বিষয়, আমরা এখানে ভিন্নকিছুর জন্যে এসেছি।’

স্কোরলাইনটা যেমন দেখাচ্ছে, ম্যাচের বাস্তবতা মোটেও তেমন ছিল না আর্জেন্টিনার। প্রথম গোলের পর বেশ সংগ্রামই করতে হয়েছে দলকে। এমন এক জয়ের পর সতীর্থদেরও কৃতিত্বের সমান ভাগ দিলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। বললেন, ‘দল যে কাজ করে চলেছে, সেজন্যে আমি অভিনন্দন জানাতে চাই আমার দলকে। অনেকদিন ধরেই আমরা পরিবার থেকে দূরে আছি আমরা। আমাদের একটা লক্ষ্য আছে, আর আমরা সেটা নিয়েই ভাবছি।’

ম্যাচটা যে কঠিন ছিল, সেটা বলতে দ্বিধা নেই মেসির। বললেন, ‘সত্যিটা হচ্ছে, আমাদের একটা কঠিন ম্যাচ ছিল এটা। আমি মনে করি গোলটা পাওয়ার আগ পর্যন্ত বেশ লড়াই করতে হয়েছে আমাদের।’

এমন দিনেও মাঠের সমালোচনা না করে পারলেন না আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। ২২ মিনিটে যে গোলটা মিস করেছিলেন তিনি, তাতে কিছুটা হলেও তো দায় আছে এবড়ো থেবড়ো মাঠের! মেসি বললেন, ‘খেলার জন্য উপযোগী মাঠে এটা নয়। সব মাঠ, যেখানে আমরা খেলেছি, সবগুলোই বেশ বাজে মাঠ ছিল। তবে এ নিয়ে অভিযোগ করা চলে না কারণ, মাঠটা সবার জন্যেই সমান।’ 

ইকুয়েডরের বিপক্ষে এ জয়ের পর আর্জেন্টিনার সামনে নতুন লক্ষ্য এবার সেমিফাইনাল। আগামী বুধবার সেমিফাইনালে মেসিরা খেলবেন কলম্বিয়ার বিপক্ষে, যারা তৃতীয় সেমিফাইনালে উরুগুয়েকে হারিয়ে উঠে এসেছে শেষ চারে।

এনইউ/এটি