মেসির বন্ধুরা তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন এসব ছবি

বার্সেলোনার কাস্তেলদেফেলসে যেখানে লিওনেল মেসির বাসা, সেখানে শনিবার রাতে লোকারণ্য হয়ে পড়েছিল। বাসায় বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়েছিলেন বন্ধুরা, আর বাইরে ছিল সাংবাদিকদের ভিড়, সমর্থকদেরও। ‘মেসি! মেসি!! মেসি!!!’ রবে রীতিমতো ভারী ছিল সেখানকার বাতাস!

মেসি যে বার্সেলোনায় থাকছেন না আর, সেটা নিশ্চিত। বৃহস্পতিবার রাতে বার্সেলোনার ঘোষণার পরেও বিষয়টা নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে যাচ্ছে। সবাই এখন নিশ্চিত মেসি আর থাকছেন না কাতালুনিয়ায়। 

কঠিন একটা সময় কাটছে তার। এমন কিছু যে খোদ মেসিও চাননি। যে পরিস্থিতিটা বার্সেলোনা আর মেসি দুই পক্ষই কল্পনা করেনি, সেটাই ঘটেছে অবশেষে। লা লিগার বেতন নিয়ে গড়া নিয়মের বেড়াজালে মেসিকে রাখা যায়নি আর, বার্সেলোনাকে তাই ঘোষণা করতে হয়েছে তার না ফেরার খবর। অথচ ইউরোপীয় পরাশক্তিদের প্রস্তাব আসছিল সেই এপ্রিল মাস থেকেই, সেসব নাকচ করে দিয়ে বার্সেলোনাতেই নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে চেয়েছিলেন মেসি! 

তার সহকর্মী-বন্ধুদের জন্যেও বৈকি! জেরার্ড পিকে, সার্জিও বুসকেটস, জর্দি আলবাদের বার্সেলোনা ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় জুড়েই তো ছিল মেসির সরব উপস্থিতি। সেই মেসি চলে যাচ্ছেন, আবেগ না ছুঁয়ে যায় কী করে তাদের? তার বিদায়ের আগে তাই বার্সেলোনায় তার বাসায় হাজির হয়েছিলেন সবাই। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, জেরার্ড পিকে, শাকিরা, সার্জিও আগুয়েরো, সার্জিও বুসকেটস, জর্দি আলবারা সবার আগেই চলে গিয়েছিলেন সেখানে। এরপর হাজির হয়েছেন মেসির কাছের বন্ধু ইবাই ইয়ানোসও। 

আগুয়েরো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে রাতের এক ছবি প্রকাশ করেন। বলেন, ‘যেখানেই যাও, তোমার জন্য শুভকামনা রইলো বন্ধু। সবসময় এভাবেই হাসতে থেক, আমি তোমাকে ভালোবাসি পা।’ তার সঙ্গে যখন দেখা করতে হাজির হয়েছেন বন্ধুরা, তখন তার বাসার বাইরে ছিল হাজারো সমর্থকের ভিড়। তারা বিদায়ের সুরে গান গাইছিলেন প্রিয় মহাতারকাকে উদ্দেশ্য করে।