গত পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সেরা গোলরক্ষকদের একজন শহিদুল আলম সোহেল। অনুশীলন এবং ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেও আন্তর্জাতিক অনেক ম্যাচে তার ছোটখাটো ভুলে ক্লাব ও জাতীয় দল অনেক সময়ই পক্ষে ফল পায়নি। ব্রিটিশ গোলরক্ষক কোচ লেস ক্ল্যাভলি পুনরায় বাংলাদেশ দলের তিন গোলরক্ষক নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন।

চলমান ক্যাম্পে রয়েছেন তিন গোলরক্ষক সোহেল, আনিসুর রহমান জিকো ও মিতুল মারমা। সোহেল সম্পর্কে গোলরক্ষক কোচের মূল্যায়ন, ‘সোহেল নিঃসন্দেহে অসাধারণ খেলোয়াড়। অনুশীলনে সে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে।’ সোহেলের সমস্যার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি ‘এনিমি’ শব্দ ব্যবহার করে বলেন, ‘সোহেলের এনিমি সোহেল নিজেই। ম্যাচ চলাকালে তার মাঝেমধ্যে আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি থাকে। আমি সেই আত্মবিশ্বাস ফেরানোর কাজ করছি। সে ইতোমধ্যে অনেক উন্নতিও করেছে।’ 

অন্য দিকে আরেক গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করেছেন গোলরক্ষক কোচ, ‘তার আত্মবিশ্বাস দারুণ। আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে সে দুর্দান্ত সেভ করছে।’ নতুন গোলরক্ষক মিতুল মারমা সম্পর্কে বলেন, ‘সে নতুন জাতীয় দলে এসেছে। টেকনিক্যালি সে যথেষ্ট ভালো। গেম সিচুয়েশন, সাইকোলজি নিয়ে আমি কাজ করছি।’ 

ব্রিটিশ গোলরক্ষক কোচ লেস ক্ল্যাভলি জাতীয় দলের খণ্ডকালীন কোচিং স্টাফ। তিনি শুধু টুর্নামেন্ট বা অনুশীলনের সময় থাকেন। জুনে বিশ্বকাপ বাছাই শেষে নিজ দেশ ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়েছিলেন। ইংল্যান্ড থেকেই বিশকেকে এসেছেন। 

পুনরায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আবার বাফুফের সঙ্গে কাজ শুরু করতে পেরে আনন্দিত। সামনের দুই মাসে আমাদের অনেক ব্যস্ততা। গোলরক্ষক নিয়ে ভালো কাজ হচ্ছে। আশা করছি গোলরক্ষকরা ভালো পারফরম্যান্স করবে।’
 
জাতীয় দলে থাকা ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম সিনিয়র শহিদুল আলম সোহেল বলেন, ‘আমরা ২৮ আগস্ট বিশকেকে এসেছি। ইতোমধ্যে এখানে আমরা তিন দিন অনুশীলন করলাম। আজ আমাদের প্রায় দুই ঘণ্টা করে অনুশীলন হচ্ছে। প্রতিটি বিভাগ নিয়ে আলাদা আলাদা বিশেষ অনুশীলন হচ্ছে।’

এজেড/এমএইচ