এখনো শেষ হয়নি প্রস্তুতি-পর্ব/ঢাকাপোস্ট

রাজধানী মালের প্রাণকেন্দ্রেই অবস্থিত মালে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামেই শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। দুই দিন পর টুর্নামেন্ট শুরু হলেও সাফ ফুটবলের জন্য এখনো প্রস্তুত হচ্ছে মালে স্টেডিয়াম।

দুপুরে দেখা গেল স্টেডিয়ামের গেটের সামনে চলছে ব্যানার, ব্র্যান্ডিংয়ের কাজ। এই কাজের তদারকি করছিলেন ফুটবল এসোসিয়েশন অফ মালদ্বীপের কর্মকর্তা ফাইয়াজ আহমেদ। স্টেডিয়াম চত্ত্বরে সাফের প্রচার প্রচারণা একটু কমই। শেষ মুহূর্তে চলছে গেটের সামনের কাজ। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মালদ্বীপের এই ফুটবল কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামীকালের মধ্যে আমরা সব কিছু গুছিয়ে উঠব। সব দিক থেকে কাজ চলছে।’ 

কিছু দিন আগে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্ব আয়োজক ছিল মালদ্বীপ। সেই সফল আয়োজন সাফ ফুটবলের আগে ফুটবল এসোসিয়েশন মালদ্বীপকে ভরসা যোগাচ্ছে।

মঙ্গলবার রাতে স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য সাংস্কৃতিক দলকে অনুশীলন করতে দেখা গেছে। ফ্লাডলাইটের আলোয় তারা অনুশীলন করছিলেন। মালদ্বীপ-নেপাল ম্যাচের আগে দশ মিনিটের সংক্ষিপ্ত একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করবে মালদ্বীপ ফুটবল এসোসিয়েশন।

দুই দিন পর এত বড় টুর্নামেন্ট সেই অর্থে মালেতে লাগেনি এর ছোয়া। মালের কয়েকটি রাস্তায় ঘুরে সাফের মাত্র দুটো বোর্ড চোখে পড়েছে। সিম কোম্পানি ওরেডো টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর। 
রাস্তায় চোখে পড়ল কেবল দুয়েকটা বিলবোর্ডই/ঢাকাপোস্ট

পর্যটনের জন্য মালদ্বীপের বিশ্বজোড়া খ্যাতি। ক্রীড়াঙ্গনেও মালদ্বীপের রয়েছে সুখ্যাতি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মালদ্বীপের ক্রীড়াবিদরা চমক জাগানো পারফরম্যান্স করলেও স্বাগতিক হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে মালদ্বীপ একটু পিছিয়ে। ২০০৮ সালে শ্রীলংকার সাথে যৌথভাবে সাফ আয়োজন করেছিল। এবারই প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের একক স্বাগতিক হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। করোনাকালীন সময় ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজন বেশ চ্যালেঞ্জ। মালদ্বীপের প্রথম একক সাফ আয়োজন কেমন হয় সেটা দেখার অপেক্ষায় দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলপ্রেমীরা। 

এজেড/এনইউ