হারের শোকে বিহ্বল লিভারপুল ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ/ছবি: সংগৃহীত

লিভারপুল বার্নলি

                    বার্নস ৮৩

প্রতিপক্ষ গোলমুখে এক সময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা লিভারপুল শেষ কিছুদিন যেন গোল করাই ভুলে গেছে। তাতে দলটির ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ড-দুর্গ ভাঙলো এবার। বার্নলির কাছে ১-০ গোলে হেরে  অল রেডদের ঘরের মাঠে ৬৮ ম্যাচের অপরাজিত যাত্রা থেমে গেছে।

২৩ এপ্রিল, ২০১৭। সেদিন ফেলিপে কৌটিনিয়োর গোলে এগিয়ে গিয়েও ক্রিশ্চিয়ান বেনটেকের জোড়া গোলে অ্যানফিল্ডে হারের বিস্বাদ নেয় লিভারপুল। সেটাই শেষ। এরপর প্রায় চার বছর হয় জিতেছে নাহয় নিদেনপক্ষে ড্র করেছে দলটি, তবে হারের মুখ আর দেখেনি কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। সে যাত্রাটাও ভেঙেছে বৃহস্পতিবার রাতে। 

অবনমন অঞ্চলের দল বলেই হয়তো, মোহামেদ সালাহ, রবার্তো ফিরমিনোকে শুরুর একাদশে রাখেননি কোচ ক্লপ। তাই বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও প্রতিপক্ষ গোলমুখে ভোঁতা ছিল অল রেডদের আক্রমণ। তবু দিভোক অরিগি দুটো চেষ্টা করেছিলেন, দুটো শটই অনায়াসে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক নিক পোপ।

কিছুটা দূর্ভাগ্যও দলটির সঙ্গী হয়েছিল। না হয় বিরতির ঠিক আগে গোলরক্ষক পোপকে একা পেয়েও কেন দিভোক অরিগির শটটা প্রতিহত হবে গোলপোস্টে? দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ মিনিটে সাদিও মানের বাড়ানো বল থেকে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের শট কোনোমতে ঠেকান বার্নলি গোলরক্ষক। 

জয়সূচক গোলের লক্ষ্যে এরপর অরিগি আর অ্যালেক্স অক্সলেইড-চেম্বারলেইনকে তুলে নিয়ে সালাহ-ফিরমিনোকে মাঠে আনেন লিভারপুল কোচ। জয়সূচক গোলটা হয়েও যেতে পারত ঘণ্টা পেরোনোর আগে। জর্জিনিও ওয়াইনাল্ডামের বাড়ানো বলে সালাহর করা শট এবারও প্রতিহত হয় নিক পোপের বাঁধায়। 

এতগুলো সুযোগ হারানোর খেসারত দিতে হয় লিভারপুলকে। ৮৩ মিনিটে গোল হজম করে স্বাগতিক দলটি। বল পায়ে আগুয়ান অ্যাশলি বার্নসকে নিজেদের বিপদসীমায় ফাউল করে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দেন গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। ফলে তিন বছর নয় মাস পর নিজ মাঠে হারের বিস্বাদ নেয় ক্লপের শিষ্যরা।

চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো হারল দলটি। শেষ পাঁচ ম্যাচে রইল জয়বঞ্চিত। ফলে ১৯ ম্যাচ শেষে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চারে আছে তারা। শীর্ষে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ১৯ ম্যাচ থেকে ৪০ পয়েন্ট অর্জন দলটির। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি আছে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে। তৃতীয় স্থানে থাকা খেলেছে ইউনাইটেডের সমান ম্যাচ, পয়েন্ট অর্জন করেছে সিটির সমান ৩৮ পয়েন্ট, তবে গোল ব্যবধানে পেপ গার্দিওলার দলের চেয়ে পিছিয়ে আছেন জেমি ভার্ডিরা।

এনইউ