মোহামেডানের নির্বাচন ২৭ ফেব্রুয়ারি!
ছবি : সংগৃহীত
দুই দফা পিছিয়েছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান ক্লাবের নির্বাচন। গত বছর এপ্রিলে ছিল নির্বাচনের প্রথম তারিখ। করোনাভাইরাসের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয় সেই নির্বাচন। পরবর্তীতে ৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলেও ক্লাবের অভ্যন্তরীণ কিছু কাজ বাকি থাকায় সেই তারিখেও নির্বাচন হয়নি।
এখন নতুন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হচ্ছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ক্লাবের অন্যতম স্থায়ী সদস্য ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ‘দুই দফা পিছিয়েছে নির্বাচন। একটি নির্বাচিত কমিটির কাছে ক্লাবের দায়িত্ব থাকা উচিত। ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে।’
২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন, এজিএম, অডিট রিপোর্ট এসব বিষয় ক্লাব পরিচালকদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভার পরই ক্লাবের স্থায়ী সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের দিন, স্থান জানানো হবে।
ক্লাবের ফুটবল দলের দলনেতা ও অন্যতম স্থায়ী সদস্য আবু হাসান চৌধুরি প্রিন্স বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা চাদা পরিশোধ, তথ্য হালনাগাদের চিঠি পেয়েছি। কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো নির্বাচন সম্পর্কিত চিঠি পাব।’
বিজ্ঞাপন
ক্যাসিনো কাণ্ডের পর ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান ক্লাবের ওপর অনেকটা ঝড় বয়ে গেছে। গত মৌসুমে ফুটবল দল গঠন করা অনেকটা অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল। প্রয়াত ফুটবলার বাদল রায়ের উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত ফুটবল দল গঠন সম্ভব হয়েছিল।
ক্যাসিনো কান্ডের আগেই হাইকোর্ট অ্যাডভোকেট এমএ আমিনউদ্দিনকে অর্ন্তবর্তীকালীন সভাপতি করেছিল। অর্ন্তবর্তীকালীন সভাপতিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্ট। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং পরবর্তীতে আমিনউদ্দিন অ্যাটর্নী জেনারেল হওয়ায় নির্বাচনী কার্যক্রম কিছুটা পিছিয়ে যায়। পাশাপাশি ভোটার তালিকা নিয়েও সমস্যা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কারণ সাবেক ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া অনেককে ক্লাবের স্থায়ী সদস্যপদ দিয়েছেন। তারা ভোটাধিকার পাবেন কিনা এটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই ব্যাপারে অবশ্য ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনউদ্দিনের বক্তব্য ছিল, ‘মোহামেডান ক্লাব লিমিটেড কোম্পানি। জয়েন্ট স্টক এক্সচেঞ্জে যাদের নাম নিবন্ধিত তারাই বৈধ ভোটার হবেন।’
২০১১ সালে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান ক্লাব লিমিটেড কোম্পানিতে রুপান্তরিত হয়। ২০১১ সালে নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ ২০১৩ সালে শেষ হলেও এখনো বহাল রয়েছে সেই পর্ষদ।
এজেড/এমএইচ/এটি