হারের পর বিধ্বস্ত মিলান ফরোয়ার্ড ইব্রা/ছবি: সংগৃহীত

এসি মিলান আটালান্টা
                       রোমেরো ২৬ 
                      ইলিসিচ ৫৩
                      জাপাতা ৭৭ 

জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ আগের ম্যাচ শেষেই হুঙ্কার ছেড়ে বলেছিলেন, ‘এই মিলান আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে’। মারিও মানজুকিচ দলে যোগ দেয়ার পর প্রথম ম্যাচে উল্টো হেরেই বসলো ইব্রার এসি মিলান। আটালান্টার কাছে ৩-০ গোলের হারেও অবশ্য খুব একটা ক্ষতি হয়নি মিলানের। ১৯ ম্যাচ শেষেও শীর্ষে আছে দলটি, অনানুষ্ঠানিক ‘শীতকালীন চ্যাম্পিয়ন’ তকমাও পেয়ে গেছে কোচ স্তেফান পিওলির শিষ্যরা। 

নিজেদের মাঠ সান সিরোয় মিলান পিছিয়ে পড়ে প্রথমার্ধেই। ২৬ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর হেডার এগিয়ে দেয় সফরকারী আটালান্টাকে। বিরতির কিছু পরে পেনাল্টি থেকে সফরকারীদের ব্যবধান বাড়ান জোযিফ ইলিসিচ। এপর দুভান জাপাতার গোলে বের্গামোর দলটি ফেরে ৩-০ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে। এর আগে পরে সুযোগগুলো না হারালে হয়তো ব্যবধানটা আরও বাড়তেও পারতো দলটির।

ম্যাচে মিলান কতোটা অসহায় ছিল তার চিত্র ফুটে ওঠে গোলপানে দলটির শটের ফিরিস্তিতে চোখ বোলালে। এর আগে লিগে সর্বশেষ ১৮ ম্যাচের ১৭টিতেই কমপক্ষে দুই গোল করা দলটাই এদিন প্রথম গোলমুখে শট নিল ৭১ মিনিটে এসে! এরপরও ঠিক শটের বন্যা বইয়ে দিতে পারেনি মিলান, ফলে মৌসুমে দ্বিতীয় হারের কবলে পড়েন ইব্রারা।

এই হারের পরও অবশ্য মিলান ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে লিগের শীর্ষে, দিনের অন্য ম্যাচে উদিনেসের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে দুই পয়েন্টে দলটি থেকে পিছিয়ে আছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার। ১৯ ম্যাচ শেষে এ কীর্তি গড়ায় ইতালিয় ফুটবলের অনানুষ্ঠানিক ‘শীতকালীন চ্যাম্পিয়ন’ তকমাটাও জুটে গেছে দলটির কপালে। তবে দলের সবচেয়ে বড় তারকা ইব্রা এর প্রতিক্রিয়ায় বললেন, ‘আমরা মাঝামাঝি পর্যায়ে আছি। এর মানে এ পর্যন্ত ভালো কাজই করেছি আমরা।’

সিরি’আ ২০০৪ সালে ২০ দলে উন্নীত করার পর থেকে শীতকালীন চ্যাম্পিয়নরাই বেশিরভাগ সময় জিতেছে শিরোপা। তবে ২০১৫-১৬ আর ১৭-১৮ মৌসুমে ব্যতিক্রম ঘটেছিল, দুবারই দুর্ভাগা দলটা ছিল ন্যাপোলি। সে ইতিহাস মাথায় রেখেই হয়তো, দলকে সাবধান করে দিলেন ইব্রা। বললেন, ‘তবে এখন থেকে কঠিন সময়ের শুরু, যখন ম্যাচের সংখ্যা বেশি থাকবে। শারীরিকভাবে নিজেদের ভালো রাখতে হবে আমাদের।’

এনইউ