রাজধানীর হাটখোলা বাজারের জগদ্বন্ধু মঠ। এই মঠের তৃতীয় তলায় শ্রদ্ধার্ঘ্য অনুষ্ঠানে প্রবেশমুখে বাদল রায়ের প্ল্যাকার্ড দেখে চমকে উঠেছিলেন বাদলের দীর্ঘদিনের সাথী বাস্কেটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক একে সরকার, ‘মনে হচ্ছিল বাদলকে যেন জীবন্ত দেখছি৷’ এই প্রতিবেদকের কাছেও অনুষ্ঠান স্থলে এমনটি লেগেছে। 

গত বছর ২২ নভেম্বর বাদল রায় পৃথিবী ছেড়েছেন। ক'দিন পর এক বছর হতে চলছে। বাদলকে প্রতিমুহূর্তে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে বন্ধু কামরুন্নাহার ডানা, ‘বাদলের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব চার দশকের বেশি সময়। বাদল চলে গেলেও ওর আদর্শ আমরা ধারণ করি।’ 

বাদলের পরিচয় ছিল মোহামেডানের বাদল। মোহামেডানের তকমা থাকলেও ব্যক্তিত্বে জয় করেছেন আবাহনীর অনেকের মনও। বাদলের প্রথম বছরের শ্রদ্ধার্ঘ্যে এসেছিলেন আবাহনীর সিনিয়র সংগঠক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি। বাদল ফুটবলার হলেও সংগঠক জীবনে তিনি কাজ করেছেন পুরো দেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়েই। তার এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন অন্য ফেডারেশনের কর্মকর্তারাও। 

ছোট এই আয়োজনে ক্রীড়াঙ্গনে বাদলের প্রিয় ও কাছের লোকজন ছাড়াও রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেকে এসেছিলেন। জাতীয় সংসদের সদস্য অসীম কুমার উকিল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাউসার সহ আরো অনেক। 

এজেড/এনইউ