আম্পায়ারের শেষ বাশি। মেরিনার্সে টেন্টে উল্লাসের জোয়ার। মোহামেডানকে ৫-২ গোলে হারিয়ে খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা সবাই দারুণ উচ্ছ্বসিত। দলবদলের জটিলতা, মাঠের বাইরে স্নায়ুযুদ্ধ সব মিলিয়ে এই জয় মেরিনার্সকে বাড়তি প্রশান্তিই এনে দিয়েছে। 

সারওয়ার মুর্শেদ শাওনকে নিয়ে দুই ক্লাবের মধ্যে থানা, পুলিশ, আদালত হয়েছে অনেক। শেষ পর্যন্ত শাওনকে পায়নি মেরিনার্স। মোহামেডান মাঠের বাইরের লড়াইয়ে জয়ী হলেও মাঠের লড়াইয়ে মেরিনার্স আজ জিতে খানিকটা জবাবও দিল। 

ক্লাব কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল দুই দলের। অধিনায়ক জিমির নিষেধাজ্ঞার জন্য খেলেনি মোহামেডান। ওয়াকওভার পেয়ে সরাসরি ফাইনাল খেলে মেরিনার্স। আজই ছিল প্রথম মাঠের লড়াই। মাঠের লড়াইয়ের কিছুক্ষণ আগেও দুই দলের মধ্যে হয়েছে দ্বন্দ্ব। কোন টেন্টে কোন দল বসবে। এটা নিয়ে বাকবিতণ্ডাও হয়েছে প্রচুর। এজন্য খেলা শুরু হয়েছে আধ ঘন্টা পর। খেলার মধ্যে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবাদ করেছে দুই দলই। দুই দলের অধিনায়ক চয়ন ও জিমি একবার ঝগড়ায় জড়ালেও খুব অপ্রীতিকর কিছু হয়নি এই ম্যাচে। 

খেলা শুরুর পর থেকেই মেরিনার্সের আধিপত্য। ১৭ মিনিটের মধ্যে তিন গোলের লিড মেরিনারের। ৮ মিনিটে মিলনের গোলে লিড মামুনুর রশীদের দলের। ছয় মিনিট পর ভারতীয় খেলোয়াড় পারদীপ মোরের গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ। ১৭ মিনিটে তাহসিন আলী স্কোরলাইন ৩-০ করেন। পেনাল্টি কর্নার থেকে আশরাফুল গোল করে মোহামেডানকে ম্যাচে ফেরান। 

৪৩ মিনিটে সাদা কালো দলের ভারতীয় খেলোয়াড় সুনীল আরেকটি গোল করলে ম্যাচে কিছুক্ষণের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফিরে আসলেও পরের মিনিটেই মেরিনার্স অভিষেকের গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ৫০ মিনিটে ফজলে হোসেন রাব্বির গোলে মেরিনার্সের মোহামেডানের বিপক্ষে ৫ লিগে পাঁচ গোল দেয়ার এবং বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডও হয়।

শুক্রবার ছুটির দিনে দুই দলেরই সমর্থক এসেছিলেন গ্যালারিতে। অনেক দিন পর হকি স্টেডিয়াম যেন জেগে উঠেছিল। সমর্থকদের বাদ্যযন্ত্র ও স্লোগানে বেশ উপভোগ্যই হয়ে উঠেছিল ম্যাচটি।

এজেড/এনইউ