বার্সেলোনার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, নতুন বসতি গড়েছেন প্যারিসে। তার তিন মাস পেরিয়ে গেছে। নতুন ঘরে শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে মনে হলেও লিওনেল মেসি মানিয়ে নিচ্ছেন ধীরে ধীরে। সবশেষ ম্যাচে পেয়েছেন পিএসজির হয়ে প্রথম লিগ গোলটা। তাতেই মেসির মনে হচ্ছে, পিএসজিতে মানিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে তার।

দীর্ঘদিনের ঘর, চেনা পরিবেশ ছেড়ে নতুন মুল্লুকে কেমন লাগছে লিওনেল মেসির? সেখানে মানিয়েই বা নিতে পেরেছেন কতটুকু? এমন সব প্রশ্ন তো আছেই, আরও অনেক প্রশ্ন নিয়েই তার কাছে সম্প্রতি হাজির হয়েছিল স্প্যানিশ ক্রীড়াদৈনিক মার্কা। সেসবের উত্তরেই মনের জানালা খুলে বসেছিলেন মেসি। 

পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর গোল পাচ্ছিলেন না। গোল তো মাঠের বিষয়, মাঠের বাইরের জীবনটাও তো ভালো কাটছিল না মেসির। নতুন ঘর খুঁজে পাচ্ছিলেন না, স্ত্রী সন্তান নিয়ে উঠতে হয়েছিল হোটেলে। 

বাড়ি অবশেষে খুঁজে পেয়েছেন মেসি। মাঠেও মানিয়ে নিয়েছেন ভালোভাবে। তাতেই তার মনে হচ্ছে, প্যারিসকে আপন করে নিতে পেরেছেন তিনি। বললেন, ‘আমি খুব ভালো আছি, এখন পিএসজিতে পুরোপুরি মানিয়ে নিয়েছি আমি।’

পিএসজিতে সমকালীন তারকাদের হাটই যেন বসেছে চলতি মৌসুমে। নেইমার, এমবাপে, ডি মারিয়ারা ছিলেন আগেই। চলতি মৌসুমে মেসি তো বটেই, অভিজ্ঞ সার্জিও রামোস আর জিয়ানলুইজি ডনারুমাদের মতো সময়ের সেরাদের দলে ভিড়িয়েছে পিএসজি। সেজন্যে দলটার ওপর প্রত্যাশার চাপটাও আকাশছোঁয়া।

নাম লেখানোর দিন মেসি নিজেও তো আশার ফানুস উড়িয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার। এ প্রত্যাশার চাপটা তিনি নিজেও বোঝেন ভালো। তবে সে প্রত্যাশা মেটাতে আরও অনেক উন্নতি চাই দলের, সেটাও ভুলে গেলেন না তিনি। 

মার্কাকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, ‘সবাই বলে আমরা অনেক বড় ফেভারিট। আমি এটা অস্বীকার করব না যে আমরা শিরোপা প্রত্যাশী, কিন্তু সত্যিই শক্তিশালী একটা দল হয়ে উঠতে আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে।’ 

মেসির মনোযোগ এরপর ফিরল বার্সেলোনায়। কিছুদিন আগেই তার সাবেক সতীর্থ জাভি ফিরেছেন দলটির কোচ হয়ে। জিতেছেন প্রথম ম্যাচও। তিনি আগেও বহুবার বলেছেন, বার্সার কোচ হিসেবে দুর্দান্ত হবেন জাভি। 

দৃষ্টিভঙ্গিটা বদলালো না এবারও। তিনি বললেন, ‘বার্সেলোনা জাভিকে নিয়ে দল হিসেবে আরও বেড়ে উঠবে। কারণ সে ক্লাবটাকে হাতের উল্টোপিঠের মতো চেনে।’

মার্কার সেই সাক্ষাৎকারের পুরোটা অবশ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি। আজ মঙ্গলবার রাতেই প্রকাশ পাবে সেটা।

এনইউ