সব তারকারাই মাঠে নেমেছিলেন পিএসজির হয়ে। শুরুতে বেশ আক্রমণাত্মকও ছিল দলটি। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে গোল খেয়ে বসে তারা। কিন্তু একজন তো আছেন রক্ষাকর্তা। গোল অবশ্য করেননি। লিওনেল মেসি করেছেন অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক। পিএসজির করা গোলের সবগুলোই করেছেন তিনি।

লিগ ওয়ানের ম্যাচটিতে এ এস সেইন্ট-এটিয়েনের মাঠে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে মাওরোসিও পচেত্তিনো শিষ্যরা। পিএসজির হয়ে দুটি গোল করেছেন মাকুইনিউস, এক গোল এসেছে মেসির আর্জেন্টাইন সতীর্থ আনহেল ডি মারিয়ার পা থেকে।

পুরো ম্যাচজুড়ে দাপট দেখানো পিএসজি ম্যাচে প্রথম সুযোগ পায় ১৩তম মিনিটে। কিন্তু এমবাপের জোরালো শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। উল্টো কিছুক্ষণ পর গোলই খেয়ে বসে পিএসজি।

আরও পড়ুন : মেসি ব্যালন ডি’অর জিতে গেছেন, জানাচ্ছেন তারা

ডেনিস বোয়াঙ্গা অরক্ষিত জায়গায় বল পেয়ে যান। গোলও করেন তিনি। কিন্তু সহকারী রেফারি তুলেন অফসাইডের পতাকা। তবে ভিএআরের সিদ্ধান্তে এগিয়ে যায় এটিয়েন। 

এরপর কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে তারা। তবে বড় ধাক্কাটা খায় ৪৫তম মিনিটে এসে। এমবাপেকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন টিমোথি কোলোডজিজ্যাক। এর ২ মিনিট পর মেসির বাড়ানো বলে দারুণ এক হেড করে সমতায় ফেরে পিএসজি

দ্বিতীয়ার্ধেও ভালোই লড়াই করে এটিয়েন। কিন্তু ১০ জনের দল নিয়ে পেরে উঠেনি তারা। ৭৯ মিনিটে মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন ডি মারিয়া।

আরও পড়ুন : মেসি থাকলে কোনোদিনই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারবে না পিএসজি

তার গোলের দুই মিনিট আগেই মাঠ ছাড়তে হয় নেইমার জুনিয়রকে। ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে। ইভান ম্যাকন ফাউল করেন নেইমারকে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ব্রাজিল তারকা। পরে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

জিততে অবশ্য কোনো সমস্যা হয়নি পিএসজির। যোগ করা সময়ে মেসির ক্রস পেয়ে যান মার্কুইনিস। হেড থেকে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।

এমএইচ