গত রাতেই গড়া হয়ে গেছে ইতিহাস। সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর লিওনেল মেসিরই ছিল; নিজের রেকর্ডটাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি, জিতেছেন সপ্তম ব্যালন ডি’অর। বছর দশেক আগেও বিষয়টা অকল্পনীয়ই ছিল, সেটাই মেসি করে দেখিয়েছেন।

তবে আর সবার কাছে অকল্পনীয় থাকলেও একজনের কাছে বিষয়টা জলবৎ তরলংই ছিল। বার্সেলোনার কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ যে নয় বছর আগেই বলে দিয়েছিলেন, সাতটা ব্যালন ডি’অর জেতা কেবল মেসির পক্ষেই সম্ভব।

মেসির ঝুলিতে তখন দুটো ব্যালন ডি’অর, ২০০৯ আর ২০১০ সালের দুই বর্ষসেরার পুরস্কার। ছিলেন তৃতীয়টা পাওয়ার অপেক্ষায়।

টানা দুই বার হলেও সাত বার পুরস্কারটা জেতা ছিল দূর আকাশের তারাই। ইউরোপীয় পরিসরে ফুটবলের তীব্রতা, তার সঙ্গে লড়ে দীর্ঘদিন নিজের সেরা ফর্ম ধরে রাখার বিষয় ছিল। আবার ছিল লাতিনরা তিরিশেই ফুরিয়ে যান, এ মিথ জয়ের চ্যালেঞ্জও। 

ইয়োহান ক্রুইফ/ফাইল ছবি

সেই সব কারণ মাথায় রাখলেও ক্রুইফের বিশ্বাস ছিল, মেসির সেসব চ্যালেঞ্জ জয়ের ক্ষমতা আলবৎ আছে। তখন আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম ওলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সে-ই ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর জেতা খেলোয়াড় হয়ে থাকবে। সম্ভবত সে পাঁচ, ছয়, কিংবা সাতটা ব্যালন জিতবে। সে অতুলনীয়। অন্যান্য খেলোয়াড়ের চেয়ে সে সম্পূর্ণ আলাদা, সে যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন এক লিগে খেলে।’

ক্রুইফের সঙ্গে মেসি/ফাইল ছবি

শুধু তাই নয়। সেই সময়েই তিনি বলে দিয়েছিলেন, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, পেলে, কিংবা আলফ্রেডো ডি স্টেফানোদের কাতারেই মেসিকে দেখেন তিনি। ক্রুইফের কথা ছিল, ‘মেসি সেই টেবিলেই বসবে, কারণ সে গুরুত্বপূর্ণ সব শিরোপা জিতেছে। কারণ তার কাছে দুটো ব্যালন ডি’অর এখনই আছে, ভবিষ্যতে সে সবচেয়ে বেশি ব্যালন জেতা খেলোয়াড় হবে। আরও একটা কারণ হচ্ছে, সে এখন যেমন খেলোয়াড়, তার চেয়ে বেশি কিছু হতে পারবে ভবিষ্যতে। সেজন্যেই...’

ক্রুইফের শেষোক্ত উক্তিটি মেসি করে দেখাতে পেরেছেন কিনা, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সাত নম্বর ব্যালন ডি’অরটা মেসি ঠিকই জিতে নিয়েছেন। আর সেটা ক্রুইফ বলে গিয়েছিলেন সেই ২০১২ সালের জানুয়ারিতে বসে!

এনইউ