ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাতটি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন লিওনেল মেসি। চাঁদেরও যেমন কলঙ্ক থাকে, মেসির এ কীর্তিরও আছে বৈকি! আলোচনা-সমালোচনা চলছে, আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি আদৌ যোগ্য হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছেন তো? এ তালিকায় নাম লিখিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস। তিনি প্রশ্ন তুলে বসেছেন নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েই।

সোনায় মোড়ানো একটা বছরই কাটাচ্ছেন মেসি। চলতি বছর গোলের দিক থেকে হয়তো ভালো কাটেনি তার সময়, করেছেন ৪২ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১৭টি গোলও, এমন কিছু তো মেসি করেন হরহামেশাই। ক্লাবের হয়ে জিতেছেন কেবল এক কোপা দেল রে শিরোপা। 

তবে যে বিষয়টা তাকে ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে তা হলো কোপা আমেরিকা। ব্রাজিলের মাটিতে তাদেরই ফাইনালে হারিয়ে ২৮ বছর পর শিরোপা খরা ঘুচিয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। ৫ গোল আর ৪ অ্যাসিস্ট করে মেসি সর্বোচ্চ গোলদাতা, টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় বনে গেছেন। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েই জিতেছেন কোপা আমেরিকার শিরোপা। একটা আন্তর্জাতিক শিরোপাই আর সবার চেয়ে এগিয়ে রেখেছে তাকে।

ঢাকা পড়ে গেছে বুন্ডেসলিগায় রবার্ট লেভান্ডভস্কির রেকর্ডভাঙা মৌসুমটাও। গেল মৌসুমে পোলিশ এই তারকা জিতেছেন বুন্ডেসলিগা শিরোপা, করেছেন ৪১ গোল, তাতেই পেছনে ফেলা হয়ে গেছে জার্ড মুলারের ৪৯ বছরের পুরনো রেকর্ডটি। 

যদিও সেটাকে শেষমেশ মেসির কীর্তির সামনে ছোট বলেই মনে করেছেন ব্যালন ডি’অরের ভোটদাতারা। আর এ কারণেই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বসেছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক। 

তিনি বলেছেন, ‘আমার জন্য এখন ফুটবলীয় পুরস্কারগুলোকে বিশ্বাস করাই কঠিন হয়ে গেছে। আমার মতে, মেসি ইতিহাসের সেরা পাঁচ খেলোয়াড়ের মধ্যে একজন। কিন্তু গেল মৌসুমে সেরা খেলোয়াড় কে, সেটার ক্রমতালিকা করতে জানতে হবে আপনাকে। এটা মোটেও কঠিন কিছু নয়, অন্যরা সেটাকে কঠিন বানিয়ে ফেলছে।’

এনইউ