লিওনেল মেসি সপ্তম ব্যালন ডি’অর জেতার পরপরই পেয়ে বসেছিলেন একটা দুঃসংবাদ। যাতে ম্যাচে খেলা নিয়েই সৃষ্টি হয়েছিল শঙ্কা। সব শঙ্কা কাটিয়ে মেসি অবশ্য শেষমেশ নিসের বিপক্ষে ছিলেন ম্যাচের শুরুর একাদশেই। 

নামার আগে মানলেন এক রেওয়াজ। ব্যালন ডি’অর জেতার পরের রেওয়াজ। মর্যাদার এই পুরস্কার নিয়ে নিয়ে মাঠে আসার কেতা অনুসরণ করলেন মেসি। তাতেই পিএসজিকে নতুন এক অভিজ্ঞতা উপহার দিলেন আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা। এই প্রথম যে পার্ক দেস প্রিন্সের দর্শক তাদের ঘরের মাটিতে কাউকে ব্যালন ডি’অর প্রদর্শন করতে দেখল!

পিএসজি তাদের প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূরণ করেছে কিছুদিন আগে। গেল জুন মাসে বেশ আয়োজন করেই তারা উদযাপন করেছে সেটা।

তবে ক্লাবটির এই ৫০ বছরের এই ইতিহাসে গত ২৯ নভেম্বরের মতো দিন আসেনি আর কখনো। সে সন্ধ্যাতেই যে ‘তাদের দলের একজন’ লিওনেল মেসি জিতলেন ব্যালন ডি’অর শিরোপা। যদিও মেসির এই পুরস্কার জয়ে তার পিএসজির পারফর্ম্যান্সের অবদান কতটুকু তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়, তবু ক্লাব ফুটবলে এখন মেসির পরিচয়, তিনি পিএসজির খেলোয়াড়। তাই আর্জেন্টাইন অধিনায়কের এবারের ব্যালন ডি’অরে পিএসজির ভাগটাকে অস্বীকার করা যায় না মোটেও।

এমন অর্জনকে পিএসজি খাটো করে দেখেনি একটুও। মেসির সম্মানে বানানো হলো বিশেষ টি-শার্ট, সেখানে সোনালী হরফে লেখা আমরাই প্যারিস, পটভূমিতে মেসির আইকনিক উদযাপনের একটা প্রতিচ্ছায়াও ছাপা হলো। কানায় কানায় ভর্তি দর্শকদের সামনে সেটা পরেই মেসি এলেন ব্যালন ডি’অর সমেত। বিপুল করতালিতে প্যারিসের দর্শকরাও বরণ করে নেয় তাকে।

শুধু পিএসজিই নয় অবশ্য, ফরাসি লিগ ওয়ানের ইতিহাসেই এমন কিছু হলো মাত্র দ্বিতীয় বারের মতো। ১৯৯১ সালে ফরাসি লিগের সর্বপ্রথম ও সবশেষ খেলোয়াড় হিসেবে জঁ পিয়েরে প্যপাঁ জিতেছিলেন ব্যালন ডি’অর, ঘরের মাঠে এরপর দেখিয়েছিলেন দর্শকদের। তার ৩০ বছর পর অবশেষে মেসি ভাঙলেন সেই খরা। করলেন উদযাপনও।

শুধু মেসি নয় অবশ্য, পিএসজি সম্মান দিলো ব্যালন ডি’অরে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জেতা জিয়ানলুইজি ডনারুমাকেও। সেখানেও সোনালী হরফে লেখা উই আর প্যারিস, তবে ছায়াটা ডনারুমার নিজেরই। মেসির সঙ্গে তিনিও তার পুরস্কারটা নিয়ে এসেছিলেন মাঠে। যদিও মাঠের খেলায় মেসিরা এই উৎসবটা ধরে রাখতে পারেননি। নিসের সঙ্গে ম্যাচটা শেষ করেছেন গোলহীনভাবেই, তাতে ড্রয়ের কবলে পড়ে গেছে ফরাসি পরাশক্তিটি।

এনইউ