ঘরোয়া ফুটবলে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের সেই সুদিন আর নেই। নতুন মৌসুমে নতুন রুপে দেখার প্রত্যাশা ছিল সাদা-কালো সমর্থকদের। সেই প্রত্যাশায় শুরুতেই ধাক্কা। স্বাধীনতা কাপের দ্বিতীয় ম্যাচেই হেরেছে মোহামেডান। প্রতিপক্ষ প্রিমিয়ার লিগের কোনো দল নয় সার্ভিসেস দল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
 
মোহামেডান স্বাধীনতা কাপ খেলছে মাত্র একজন বিদেশি রনিয়ে। চার বিদেশি কোটায় তিন জন এখনো মাঠে নামেননি। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবশ্য কোনো বিদেশি ফুটবলারই নেই। এমন দলের বিরুদ্ধে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের হার ফুটবলাঙ্গনে বড় বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। মোহামেডানের দেশি ফুটবলারদের মধ্যে তেমন নামকরা কেউ নেই। একমাত্র মামুনুল ইসলাম ছিলেন। তাকেও আবার নৌবাহিনীর হয়ে স্বাধীনতা কাপ খেলার অনুমতি দিয়েছে ক্লাব। ফলে স্বাধীনতা কাপে গ্রুপ থেকে বিদায় নিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। 

দুই ম্যাচ শেষে সাইফ স্পোর্টিং ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে। মোহামেডান, সেনাবাহিনী এক জয়ে তিন পয়েন্ট যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে। দুই ম্যাচ শেষে মুক্তিযোদ্ধার পয়েন্ট শূন্য। এই গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে অনেক হিসাব-নিকাশ রয়েছে। 

মোহামেডান সাইফকে হারালে ও সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে জিতলে তিন দলের পয়েন্ট সমান ছয় হবে। আবার মোহামেডান হারলে এবং মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীকে হারালে তখন মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা ও সেনাবাহিনীর সমান তিন পয়েন্ট করে হবে। 

আজ (বৃহস্পতিবার) বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সেনাবাহিনী ভালো খেলেই জয় পেয়েছে। সেনাবাহিনীর রঞ্জু ১৮ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোল করেন। সেনাবাহিনী ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায়। ৭০ মিনিটে ম্যাচের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইমন। ইনজুরি সময়ে মোহামেডানের রাকিব এক গোল করে পরাজয়ের ব্যবধান কমান। 

এজেড/এমএইচ