গোল করে-করিয়ে আবাহনীর নায়ক কলিন্দ্রেস/আবাহনী

এক ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসই বদলে দিচ্ছেন ঢাকা আবাহনীকে। গোল করছেন আবার করাচ্ছেনও সমানতালে। স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব মূলত হেরেছে কলিন্দ্রেসের কাছেই। জাতীয় দলের সাবেক কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানী সাইফ স্পোর্টিংয়ের কোচ হয়ে দলকে শিরোপা মঞ্চে নিতে ব্যর্থ হলেন। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে আবাহনী ২-০ গোলে সাইফ স্পোর্টিংকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। ফাইনালে আবাহনীর প্রতিপক্ষ পুলিশ না বসুন্ধরা কিংস জানা যাবে কিছুক্ষণ পরেই। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ১৮ ডিসেম্বর। 

আবাহনী ম্যাচের লিড নেয় ২৫ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো বলে আবাহনীর অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন বল নিয়ে বক্সে প্রবেশ করছিলেন। সেই মুহূর্তে তাকে ফাউল করা হয়। পেছনে আরেক ডিফেন্ডার থাকায় রেফারি মিজানুর রহমান ফ্রি কিকের বাঁশি বাজান শুধু কার্ড না দেখিয়ে। বক্সের একটু সামনে পাওয়া সেটপিস থেকে দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে গোল করেন কোস্টারিকান ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস। সাইফ স্পোর্টিংয়ের ডিফেন্ডারদের তৈরি করা মানব দেয়াল ও তাদের গোলরক্ষক কোনো কিছুই বাধা হয়ে উঠতে পারেনি তার সামনে। সুনিপুণ শট সবাইকে পরাস্ত করে জালে প্রবেশ করে। সঙ্গে সঙ্গে কমলাপুর স্টেডিয়ামের গ্যালারীতে আবাহনী সমর্থকদের উল্লাস। 

কলিন্দ্রেসের গোলে এগিয়ে আবাহনী প্রথমার্ধ শেষ করে ফেরে। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রুসিয়ানির সাইফ স্পোর্টিং ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়তে যাওয়ার হতাশায় অযথা ফাউল করে কার্ডও দেখেছেন। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন সাইফের মারাজ। এমফোনের করা থ্রো ইন বক্সের মধ্যে ফ্রি বল পেয়ে যান মারাজ। ফাঁকা জায়গায় বড় সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি।  এর খেসারত ঠিকই দিতে হয়েছে সাইফ স্পোর্টিংকে। 

৮১ মিনিটে সেটপিস থেকেই আরও এক গোলের দেখা পেয়ে যায় আবাহনী। কলিন্দ্রেসের নেয়া ফ্রি কিক থেকে গোল করেন ফরোয়ার্ড নবীব নেওয়াজ জীবন। গত মৌসুমে ইনজুরির জন্য জীবন অনেক সময় মাঠের বাইরে ছিলেন। এই মৌসুমে মাঠে ফিরে ইতোমধ্যে দুই গোল করেছেন জাতীয় দলের এক সময়ের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার। তাতেই ২-০ গোলের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় আবাহনীর। পৌঁছে যায় ফাইনালে।

২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকার ফুটবলার বসুন্ধরা কিংসের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন। এক মৌসুম পর তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান। দুই মৌসুম পর আবার বাংলাদেশে এসেছেন বসুন্ধরা কিংসের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আবাহনীর হয়ে খেলতে। এখন পর্যন্ত আবাহনীকে তিনি দারুণ ছন্দে রেখেছেন। তার কল্যাণেই শিরোপা থেকে এখন এক ধাপ দূরে দলটি।

এজেড/এনইউ