বার্সেলোনায় শেষ কয়েক বছরে লিওনেল মেসির সঙ্গে ক্লাব সভাপতির সম্পর্কটা মোটেও মধুর ছিল না। তেমন কিছু ঘটার আভাস পাওয়া যাচ্ছে পিএসজিতেও। ক্লাব সভাপতি নাসের আল খেলাইফির এমন এক কাজ করে বসেছেন, তাতে মেসি রীতিমতো ক্ষেপেই গেছেন, খবর ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যমের।

বড় সংবাদ মাধ্যমগুলোর সঙ্গে ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর সখ্যতা নতুন কিছু নয় আদৌ। তেমনটা ঘটেছে পিএসজির সঙ্গেও। খবর মিলছে, ফরাসি সংবাদ মাধ্যম ল্য পারিসিয়েনের সঙ্গে এমন মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে দলটির। সভাপতি নাসের আল খেলাইফির সঙ্গে তাদের প্রতিবেদকের সম্পর্কটা দারুণ, যার ফলে ক্লাবের খুব গোপনীয় তথ্যও ছড়িয়ে পড়ছে সংবাদ মাধ্যমে। যেমনটা ঘটেছিল মেসির দলবদলের সময়, সবার আগেই ল্য পারিসিয়েন জানিয়েছিল বিষয়টি।

আরও পড়ুন : মেসি বললেন, পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততেই হবে

স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম এল নাসিওনাল কাতালুনিয়া জানাচ্ছে, লিওনেল মেসির ক্ষোভের কারণ এটাই। মেসির খুব কাছের সূত্র ধরে সংবাদ মাধ্যমটি জানাচ্ছে, সাত বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মনে করেন, তার প্রতি সংবাদ মাধ্যমটি একটু বেশিই চাঁচাছোলা খবর ছাপছে। তার বিশ্বাস, এমন খবরও ছাপা হয়, যার সঙ্গে বাস্তবের সম্পর্ক নেই একটুও। 

বিশেষ করে এই সমস্যা ঘটে ম্যাচ রেটিংয়ে। মেসি ও তার কাছের মানুষজন মনে করেন, খেলার পর ব্যবচ্ছেদ করে তাকে কিছুটা কম নম্বরই দেওয়া হয়। সঙ্গে যোগ হয়েছে তাদের সমালোচনা। আর্জেন্টাইন মহাতারকার সমালোচনার ভাষাও যেন থাকে একটু বেশিই রূঢ়, তাতে পিএসজি ভক্তগোষ্ঠির সঙ্গে সম্পর্কটাও খারাপ হচ্ছে বলে মনে করেন মেসি

কিছু কিছু ম্যাচে তাকে ১০ এ ৪.৫ দেওয়া হচ্ছে তাকে। মন্তব্য জুড়ে দেওয়া হচ্ছে, ‘সাত বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর কাছ থেকে আমরা আরও বেশি নিখুঁত পারফর্ম্যান্স আশা করি’। নাসিওনাল কাতালুনিয়ার সেই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মেসি মনে করেন, এভাবে তার বিরুদ্ধে এজেন্ডা নিয়ে নেমেছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম, যাতে সায় আছে ক্লাবেরও!

আরও পড়ুন : মেসির কথায় খেলতে নেমে যেতে চেয়েছিলেন কোচ

এই মনোভাব আছে স্থানীয় আরেক সংবাদ মাধ্যম লে’কিপেকে নিয়েও। এই সংবাদ মাধ্যমও মেসিকে নিয়ে যেন একটু বেশিই খুঁতখুঁতে, অন্তত মেসি মনে করেন তেমনই। এক ম্যাচে মেসির খেলা নিয়ে তাদের মূল্যায়ন ছিল, ‘ফলস নাইন হিসেবে খেলতে নামা মেসিকে ডুবে যাওয়া জাহাজের মতো মনে হয়েছে’, সে ম্যাচে মেসিকে ১০ এ ৪ দিয়েছিল মিডিয়াটি। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক চটেছেন তাতেই।

এ গুঞ্জনের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও মেসি যে এমন কিছুর মুখোমুখি আগেও হয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন নেই মোটেও। এর আগে বার্সেলোনাতেও এমন সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। তখন অবশ্য শুধু মেসি নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আক্রমণ করা হয়েছে, প্রপাগ্যান্ডা ছড়ানো হয়েছে বার্সেলোনার সাবেক বর্তমান খেলোয়াড়দের নিয়েও। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আর চাপা থাকেনি। জানাজানি হয়ে যায়, তৎকালীন ক্লাব সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমেওর ইশারাতেই এ কাজ করছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র।

এনইউ