হঠাৎ করে ক্লাবগুলোর ওপর বেশ কড়াকড়ি অবস্থানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। গতকাল ফেডারেশন কাপ টুর্নামেন্ট শেষ হলেও শেষ হয়নি শোকজ পর্ব। এবারের ফেডারেশন কাপ বেশ কয়েকটি শোকজ উপহার দিয়েছে ক্লাবগুলোকে। সর্বশেষ শোকজের মধ্যে পড়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) বাফুফের লিগ্যাল অফিসার অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান লাজুকের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হয় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯ জানুয়ারি প্রেস কনফারেন্সে ক্লাবটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরউদ্দিন চৌধুরি তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘আমরা রেফারির তরফ থেকে দৃষ্টিকটু ও ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছি’। বাফুফের দৃষ্টিতে তার এই বক্তব্য ফেডারেশন কাপের একটি ধারার লঙ্ঘন।

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডকে ১৩ জানুয়ারির মধ্যে বাফুফে সচিবালয় বরাবর এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হবে। ব্যাখ্যা না দিলে ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। বাইলজে অবশ্য রেফারিং, লীগ কমিটির সমালোচনা করলে ৫০ হাজার টাকার জরিমানার কথা বলা আছে।

সাইফ স্পোর্টিং ৬ জানুয়ারি ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে পেনাল্টির বাতিলের বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিল। এ সময় তারা নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছিল।

বাফুফের দৃষ্টিতে এটি আইনের লঙ্ঘন হলেও সাইফের রেফারিং নিয়ে দুইটি দাবি ছিল (গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের রেফারি, ডাগআউটে বাফুফে নির্বাহী সদস্যদের অনুপস্থিতি) অনেকটাই যৌক্তিক। যেটির একটি বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আরেকটি বিষয় সভায় আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে আসন্ন লীগেও নির্বাহী সদস্যরা ক্লাবের পরিচয়ে ডাগআউটে দাঁড়াতে বাধা থাকছে না। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাফুফে তার অধীনস্থ সংস্থাকে যেকোনো বিষয়ে কারণ দর্শানো ও শাস্তি দিতেই পারে। অন্যদিকে উন্নয়নের স্বার্থে অধীনস্থ সংস্থার সুপারিশ,পরামর্শ তেমন আমলে নিচ্ছে না বাফুফে। 

এজেড/এমএইচএস