এক ম্যাচেই বদলে গেল বিধ্বংসী বার্সা, কোনোরকমে এড়াল হার
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে দেখা মিলেছিল বিধ্বংসী এক বার্সেলোনার। এক ম্যাচ পরই সেটা বদলে গেল। এস্পানিওলের বিপক্ষে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও পড়েছিল হেরে যাওয়ার শঙ্কায়। পরে ডি ইয়ংয়ের গোলে কোনোরকমে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে জাভি হার্নান্দেজ শিষ্যরা।
এস্পানিওলের ঘরের মাঠে রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। এ নিয়ে এস্পানিওলের বিপক্ষে টানা ২৪ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে বার্সা। যার ১৮টিতে জিতেছে তারা। আগের ম্যাচের পারফরম্যান্স ধরে রেখে এদিনও দুই মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
বিজ্ঞাপন
বাঁ দিক থেকে বক্সের ভেতর বল বাড়িয়েছিলেন জর্দি আলবা। কোনো রকম বাধা ছাড়াই বল জালে জড়ান পেদ্রি। এরপর বল পজেশন ধরে রাখলেও ধারালো আক্রমণ করতে পারছিল না বার্সা। ৩৭তম মিনিটে আসে দ্বিতীয় সুযোগ। আদামা তোরের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক।
এর মিনিট তিনেকের মাথায়ই গোলের দেখা পেয়ে যায় এস্পানিওল। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে রাউল দে তমাস ডি-বক্সে শট নেওয়ার জায়গা না পেয়ে কাটব্যাক করেন। আর বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের উঁচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দার্দের।
বিজ্ঞাপন
৫৬তম মিনিটে ফের এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু গাভির গোলটি বাতিল হয়ে যায় অফসাইডে। ৬৪তম মিনিটে উল্টো এগিয়ে যায় এস্পানিওল। সতীর্থের কাছ থেকে আসা উঁচু বল দে তমাস ওয়ান-অন-ওয়ান সিচুয়েশনে পান। গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
এরপরই খেলা জমে উঠে। গোল করতে মরিয়া বার্সা, এগিয়ে থাকায় আত্মবিশ্বাসী এস্পানিওল। স্নায়ুচাপের সময়টাতে মেজাজ হারিয়ে লাল কার্ড দেখেন বার্সার পিকে ও এস্পানিওলের নিকোলাস মেলামেদ। এরপর লাল কার্ড দেখেন এস্পানিওলের আরও এক ফুটবলার।
এর আগেই অবশ্য সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। ডান দিক থেকে তোরের দারুণ ক্রসে লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন ডাচ ফরোয়ার্ড ডি ইয়ং। শেষ অবধি ড্র করে মাঠ ছাড়ে বার্সা। ২৩ ম্যাচে ১০ জয় ও ৯ ড্রয়ে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে জাভির দল। শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট পিছিয়ে দলটি।
এমএইচ