এই গেল বছরই কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। সেই ম্যাচে হেরে দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব খুইয়েছিল দলটি। তবে চলতি বছরই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনালের পুনর্মঞ্চায়নের সুযোগ আছে একটা। কাতারে বছরের শেষে বিশ্বকাপ যে অপেক্ষা করছে। 

তবে এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে চান না ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিশার্লিসন। আর্জেন্টিনার বিশেষ এক স্বভাবের কারণেই লিওনেল মেসিদের মুখোমুখি হতে চাইলেন না তিনি।

শেষ দুই টুর্নামেন্টের দুটোতেই ফাইনালে খেলেছে ব্রাজিল। চলতি বছর আরও একটা টুর্নামেন্ট অপেক্ষা করছে দলের সামনে। এবারও যে তিতের দল সে ধারাটাই ধরে রাখতে চাইবে তা বলাই বাহুল্য। তবে ব্রাজিলের চাওয়া যে আরেকটু বেশি। পাঁচ বিশ্বকাপ ট্রফি কেসে সাজানো যাদের, তাদের কি আর শুধু ফাইনাল খেলে মন ভরে? 

তবে ট্রফি জিততে হলে তো ফাইনালে খেলা দরকার আগে। সেই ফাইনালে কাদের মুখোমুখি হতে চান, এমন এক প্রশ্ন সম্প্রতি ধেয়ে গিয়েছিল রিশার্লিসনের কাছে। সম্প্রতি আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম ওলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। দিয়েছেন তার উত্তরও। জানিয়েছেন, আর্জেন্টিনা নয়, জার্মানির সামনে পড়তে চান ফাইনালে। 

কেন, সেটাও জানিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, ‘আমি জার্মানিকে চাই। আমরা ইতোমধ্যেই জেনে গিয়েছি, ইউরোপে তারা কীভাবে খেলে থাকে। আমরা এটাও জানি আর্জেন্টিনার ফুটবল কেমন, তারা প্রতারণা করে। যখন তারা ম্যাচে এগিয়ে থাকে, তখন তারা কেমন কাজ করে, আমরা জানি। সে কারণে আমি জার্মানিকে চাই। কে জানে তাদের আমরা হারিয়ে দিতে পারি কি-না!’

কোপা আমেরিকা থেকেই দেখা গিয়েছে, এক গোলে এগিয়ে গেলেই আর্জেন্টিনা রক্ষণে মনোযোগ দেয় বেশি। প্রতি আক্রমণে বাড়াতে চায় ব্যবধান। যার ফলে প্রতিপক্ষের কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে আরও। ফাইনালেও দেখা মিলেছিল কোচ লিওনেল স্ক্যালোনির এমন কৌশলের। সে কারণেই মূলত আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে চাইলেন না রিশার্লিশন।

তবে সেটা বাস্তবের কথা। রিশার্লিসন জানালেন, শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল খেলার আগে থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেন বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার। তার কল্পনায় আবার প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকে আর্জেন্টিনা। সে কথা অকপটে বললেন তিনি, ‘অনুশীলনে আমি নিজেকে বিশ্বকাপ ফাইনালে কল্পনা করি, যেখানে ব্রাজিল আর্জেন্টিনা মুখোমুখি। ৪৫তম মিনিটে আমি একটা গোল করবো, এমন একটা কল্পনা করি। যখন আমি বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না, তখন থেকেই এই কল্পনা করতাম। আমি বুঝতে পারছি, সেই স্বপ্নটা ধীরে ধীরে খুব কাছে চলে আসছে।’

এনইউ