লিগের শিরোপা নিষ্পত্তি ছাড়াও আজ (শুক্রবার) বিশেষ আকর্ষণ ছিল ঘরোয়া হকিতে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড নিয়ে। ১৯৯৫ সালে উষার রফিকুল ইসলাম কামাল ৪০ গোল করেছিলেন। এবার লিগে কামালের চেয়ে সোহানুর রহমান সবুজ মাত্র এক গোল কম করে থামলেন। এতে অক্ষত রয়ে গেল কামালের ২৯ বছরের পুরোনো সেই রেকর্ড। 

আজ ৩৮ গোল নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন সবুজ। তার দল মেরিনার্স ৪ গোল করলেও তিনি করেছেন মাত্র একটি। পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে তিনি একমাত্র গোলটি করেন। সবুজ পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিষ্ট হলেও আজ পাঁচটি পেনাল্টি কর্নারে একটি গোলও আদায় করতে পারেননি তিনি। তাই কামালের ৪০ গোলের রেকর্ড অধরাই রয়ে গেল সবুজের। 

২০১৬ সালে রাসেল মাহমুদ জিমি ৩৭, এবার ৩৯ গোল করে থামলেন সবুজ। দুই বারই কামালের ৪০ গোলের রেকর্ডের কাছে গিয়েও ভাঙা হয়নি। বিশেষ করে এবার রেকর্ড না ভাঙতে পেরে বেশ আফসোস করছেন সবুজ, ‘রেকর্ডের একেবারে দ্বারপ্রান্তে ছিলাম। অনেক স্বপ্ন ছিল রেকর্ড গড়ার, শেষ পর্যন্ত না হওয়ায় একটু খারাপ লাগছে।’

লিগে পেনাল্টি কর্নার থেকেই ২২ গোল করেছিলেন সবুজ। সেই তিনি কিনা আজ পেনাল্টি কর্নার থেকে একবারও গোল করতে পারেননি। যা নিয়ে খানিকটা চাপে ছিলেন স্বীকার করে সবুজ বলেন, ‘রেকর্ড গড়ার একটা চাপ তো ছিলই। এছাড়া আজ পেনাল্টি কর্নার ভালো করে নিতেও পারিনি।’

সবুজের বয়স এখনও ত্রিশ পার হয়নি। এরই মধ্যে টানা দুই বার লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা। তাই রেকর্ড ভাঙার আশা এখনও জিইয়ে রাখছেন তিনি, ‘আগামী লিগে আবার নতুন করে শুরু করব। চেষ্টা করব ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত।’ সবুজ ২০২১ সালে করেছিলেন ৩৩ গোল, এবার ৩৯। ম্যাচপ্রতি তার গোল গড় আড়াইয়েরও বেশি। গোলসংখ্যায় কামালের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও গোল গড়ে অবশ্য সবুজই এগিয়ে।

গোলের খেলা হকিতে কামালের রেকর্ড ২৯ বছর ধরে অক্ষত। আজ মেরিনার্স শেষ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার পেয়েছিল। সেটাও মিস করেছেন সবুজ। এমন অবস্থা থেকে রেকর্ড অক্ষত থাকায় কামালের প্রতিক্রিয়া, ‘সবুজ অত্যন্ত ভালো খেলোয়াড়। ভেবেছিলাম আজই হয়তো রেকর্ড হাতছাড়া হবে। নিজের রেকর্ড আরও একটু দীর্ঘস্থায়ী হলো এজন্য খানিকটা ভালো লাগলেও চাই পরবর্তী লিগে কেউ ভাঙুক।’

কামাল এক লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি ঘরোয়া লিগে দুইশ’র বেশি গোল করেছেন। অন্যদিকে, ডিফেন্ডার হয়েও দুই লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন সবুজ।

আবাহনী আজ মোহামেডানের বিপক্ষে জিতলে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট হবে। বাইলজ অনুযায়ী, তখন প্লে অফ হওয়ার কথা। প্লে অফ হলে সবুজের আবারও রেকর্ড ভাঙার সুযোগ থাকবে। যদিও হকির সংস্কৃতি প্লে অফের বদলে যুগ্ম শিরোপার। আজই মেরিনার্সের বিদেশি খেলোয়াড়রা দেশে ফিরবেন এবং পরশু দিন বিমানবাহিনীর খেলোয়াড়দের ভারতে যাওয়ার কথা। বাস্তবিক অর্থে প্লে অফের সম্ভাবনা কমই।

এজেড/এএইচএস