স্টেডিয়াম এলাকায় ফিজিও সেন্টার
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকায় অনেক ক্রীড়া ফেডারেশন। প্রতিদিনই অনেক ক্রীড়াবিদ, সংগঠক, প্রশিক্ষকদের পদচারণা এই স্টেডিয়াম পাড়ায়। এত বড় ক্রীড়া কমপ্লেক্স কিন্তু নেই কোনো ফিজিও সেন্টার। ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট কারো ন্যূনতম ব্যথা বা অস্বস্তি বোধ করলে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে। এ সমস্যা দূর করতে এই মাসেই ফিজিও সেন্টার উদ্বোধনের পরিকল্পনা বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের।
আজ (মঙ্গলবার) কক্সবাজারে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে ফিজিও সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় তলায় জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক পরিষদের অফিস রয়েছে। সেই কার্যালয় থেকে দুইটি কক্ষ ফিজিও সেন্টারের জন্য বরাদ্দ হবে। একজন পুরুষ ও একজন নারী ফিজিও থেরাপিস্ট থাকবেন দায়িত্বে।
বিজ্ঞাপন
ফিজিও সেন্টার সম্পর্কে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু বলেন, ‘স্টেডিয়াম এলাকায় একটি ফিজিও সেন্টার অত্যাবশকীয়। আমরা সংগঠকরা দায়িত্ব বোধের জায়গা থেকে ফিজিও সেন্টার করার উদ্যোগ নিয়েছি। ফিজিওথেরাপিস্টদের সম্মানী, ফিজিও যন্ত্রপাতি সহ সকল বিষয় নিশ্চিত করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ফিজিও সেন্টার করার পাশাপাশি চলতি বছর মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ খেলাধুলার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৯ সালে এই সংগঠন পল্টন ময়দানে গ্রামীণ খেলাধূলা আয়োজন করেছিল। এবার কি ধরনের খেলা আয়োজন হবে সেই ব্যাপারে আরো আলোচনা প্রয়োজন বলে জানান মিকু, ‘মুজিব বর্ষে আমাদের সংগঠন খেলাধুলা আয়োজন করবেই। কোন কোন খেলা করব, সেটা নেতৃবৃন্দ বসে ঠিক করব।’
বিজ্ঞাপন
কক্সাবাজারে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় আজম নাসির ও আশিকুর রহমান মিকুকে পুনরায় সভাপতি ও মহাসচিব হিসেবে মনোনীত করা হয়। তারা আগামী চার বছর এই দায়িত্ব পালন করবেন। ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনের সময় আশিকুর রহমান মিকু ফোরামের এই নেতৃত্ব ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
পুনরায় দায়িত্ব নেওয়া প্রসঙ্গে মিকুর বক্তব্য, ‘আমি দায়িত্ব ছেড়েই দিতে চেয়েছি। সকলের অনুরোধ অগ্রাহ্য করতে না পারায় আবার এই পদে থাকতে হলো।’
জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সাধারণ সদস্যের সংখ্যা ৭২। আজকের সাধারণ সভায় শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও আওতাভুক্ত করা হয়েছে। আজকের সাধারণ সভায় উপস্থিতি ছিল মাত্র ৪২। বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থায় অ্যাডহক কমিটি ও কমিটি নিয়ে মামলা থাকায় উপস্থিতির সংখ্যা কম ছিল।
এজেড/এমএইচ