২০১৬ অলিম্পিকে বাংলাদেশের পতাকা বহনের দায়িত্ব বর্তেছিল সিদ্দিকুর রহমানের কাধে/ফাইল ছবি

২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে টোকিও অলিম্পিক। বিশ্বের সর্বোচ্চ এই ক্রীড়া আসরে বাংলাদেশের আরচ্যার রোমান সানা সরাসরি নিজ যোগ্যতায় অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত অলিম্পিক নিশ্চিত হওয়া বাকি পাচ ক্রীড়াবিদই খেলবেন ওয়াইল্ড কার্ডে। অলিম্পিকের বহর খুব ছোট হলেও ক্রীড়াঙ্গনে আগ্রহ থাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করবেন কোন ক্রীড়াবিদ। 

বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন এখনো এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, ‘আমাদের এখনো দুই একটি ডিসিপ্লিনে ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের দল পূর্ণাঙ্গ হলে এবং সফরের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকাবহনকারীর নাম প্রকাশ করব।’

পতাকা বহনের অনুষ্ঠানে নানা আনুষ্ঠানিকতা থাকে। কয়েক ঘন্টা সময় লাগে। অনেক সময় উদ্বোধনের পরের দিন খেলা থাকলে অনেক দেশ গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়াবিদদের উদ্বোধনীতে পাঠায় না। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন সেই নীতি অনুসরণ করতে পারে এবার, ‘এখন পর্যন্ত যে সূচি রয়েছে। এতে উদ্বোধনের পরের দিনই আরচ্যারি ও শ্যূটিংয়ের খেলা রয়েছে। আমরা এই বিষয়টি বিবেচনা করেই পতাকা বহনকারীর নাম ঘোষণা করব।’

আসন্ন অলিম্পিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ডিসিপ্লিন আরচ্যারি। রোমান সানা নিজে সরাসরি অলিম্পিক নিশ্চিত করায় এবং দিয়া-রোমান জুটি বিশ্বকাপ আরচ্যারিতে রৌপ্য পদক জিতেছে। ফলে উদ্বোধনের দিন তাদের বিশ্রামে থাকার সম্ভাবনাই বেশি, ‘করোনার জন্য এখন কোনো কিছুই সুনিশ্চিত বা নির্ধারিত বলা যায় না। সূচিতেও পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে। তবে আমরা সেরা পারফরমারদের খেলার আগে সম্পূর্ণ মনোযোগ খেলাতেই রাখতে চাই।’

২০১৬ রিও অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের পতাকা বহন করেছিলেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। এর আগে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকসে সাতারু মাহফিজুর রহমান সাগর বহন করেছিলেন লাল সবুজ পতাকা। এবার টোকিও অলিম্পিকসে বাংলাদেশের পতাকা বহন করবেন কে  জানা যাবে আরো কিছু দিন পর। 

সাতারু আরিফ ও জুনাইনা যথাক্রমে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড থেকে টোকিও যাবেন। শ্যূটার বাকি যাবেন জার্মানিতে প্রশিক্ষণ শেষে সেখান থেকেই অলিম্পিকে যাবেন। সেক্ষেত্রে দুই আরচ্যার রোমান সানা,দিয়া সিদ্দিকী ও স্প্রিন্টার জহির রায়হান বাংলাদেশ থেকে রওনা হবেন। জাপানে গিয়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদ ও অফিসিয়ালদের তিন দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।  

এজেড/এটি/এনইউ