মাবিয়া আক্তার সীমান্ত/ফাইল ছবি

এক মাসের বেশি সময় অলিম্পিকের ওয়াইল্ড কার্ডের অপেক্ষায় ছিলেন দেশসেরা ভারত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। গতকাল সোমবার ছিল খেলোয়াড় এন্ট্রির শেষ সময়সীমা। কাল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি থেকে নাম আসেনি ফলে অলিম্পিক স্বপ্নই হয়ে রইল মাবিয়ার কাছে। 

আজ মঙ্গলবারের সকালটি বেশ হতাশার মাবিয়ার জন্য, ‘অলিম্পিকের আশায় নিজেকে করোনা ও লকডাউনের মধ্যে প্রস্তুত রেখেছি। ফেডারেশনও চেষ্টা করেছে। ভাগ্য নেই আসলে।’ গতকাল ভারত্তোলনে ১০ টি ওয়াইল্ড কার্ডের নিষ্পত্তি হয়েছে। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের তথ্য অনুযায়ী তিনটি নিয়েছে স্বাগতিক জাপান বাকি সাতটার জন্য বিশের অধিক দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। 

অলিম্পিক আসলেই নানা সংকটের মুখোমুখি হন মাবিয়া। তাই ভাগ্যের কাছেই রাখলেন প্রশ্ন, ‘২০১৪ যুব অলিম্পিকে আমার যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে গেল আরেক জন। ১৬ রিও অলিম্পিকে আমি ফর্মের সেরা সময়। তখন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ফেডারেশন দ্বন্দ্ব। এবার করোনাও একটি বাঁধা হয়ে দাঁড়াল। আমার ক্ষেত্রে কেন এমন হয় বারবার।’

সাঁতার, অ্যাথলেটিকস, শুটিংয়ের তুলনায় ভারত্তোলনের ওয়াইল্ড কার্ড বেশ কষ্টসাধ্য মনে করেন মাবিয়া, ‘আমাদের অনেক কিছু বিবেচনা করে। জোন, ক্যাটাগরি, র্যাংকিং সহ অনেক কিছু।’

নিজে না যেতে পারলেও বাংলাদেশের টোকিওগামী দলের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ অলিম্পিকে ভালো করুক সেই কামনা রইল। টিভিতে সবার খেলা দেখার চেষ্টা করব।’

এজেড/এটি/এনইউ