যত সময় যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচন তত জটিল হচ্ছে। আজ (সোমবার) নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়ন পত্র সংক্রান্ত দুটি অভিযোগপত্র এসেছে। একটি সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদারের মনোনয়নপত্রে সমর্থকের স্বাক্ষর সংক্রন্ত আরেকটি সদস্য পদে প্রার্থীর অনুমতি ব্যতিরেকে প্রার্থীতা সংক্রান্ত। বিকেল তিনটার দিকে ইমেইলের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন দু’টি চিঠি গ্রহণ করে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তা ও ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়াজুল হাসান বলেন, ‘আমরা একটি চিঠি পেয়েছি যেখানে উল্লেখ রয়েছে কবিরুল ইসলামের সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্রে সমর্থক হিসেবে সমর্থনকারীর স্বাক্ষর নিজের ছিল না। আরেকটি চিঠি পেয়েছি প্রার্থীর অনুমতি ব্যাতিরেকে তার জন্য মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আগামীকাল শুনানীর মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তি করবে।’

এই দুইটি বিষয় নিয়ে আগামীকাল সকালে নির্বাচন কমিশনার শেখ হামিম হাসানের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন শুনানি করবে। এতে অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আগামীকাল সকাল ১১ টা-২ টা পর্যন্ত হবে এই শুনানি।

অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী কবিরুল ইসলাম শিকদারের মনোনয়নপত্রে সমর্থক-প্রস্তাবক অংশে কাটাকাটি ছিল বলে জানা গিয়েছিল বিভিন্ন মাধ্যমে। নির্বাচন কমিশন সেই মনোনয়নপত্রসহ জমা হওয়া সকল মনোনয়নই বৈধ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ৪৯ টি বৈধ মনোনয়ন পত্রের মধ্যে উপর দু’টি আজ আপত্তি এসেছে। যদিও নির্বাচনের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে ‘বাতিলকৃত’ মনোনয়নপত্রের উপর আপত্তি গ্রহণ ও ‘বাতিলের’ আপত্তির উপর শুনানী। 

ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচনের শুরু থেকেই জটিলতা ও নাটকীয়তা। ভোটার তালিকার উপর আপত্তি-শুনানী হয়েছে। এমনকি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে শুনানীর দিন অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। 

আগামীকাল শুনানী শেষে পরশু দিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন। অনেক প্রার্থী একাধিক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর নির্বাচনী মেরুকরণ কিছুটা স্পষ্ট হবে। ৩১ জানুয়ারি ভোটের দিনক্ষণ। যদিও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্বাচন পেছানোর অনুরোধে দু’টি চিঠি রয়েছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন তফসিল অনুযায়ী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। 

এজেড/এমএইচ