লিগ কমিটির জরুরি সভা আহ্বানের পরেই কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল ভেন্যু নিয়ে। সভা শেষে সেই শঙ্কাটাই সত্যি হয়েছে। ঢাকা থেকে দূরে থাকা ভেন্যুগুলো করোনা উর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে আপাতত বাদ রাখছে। ফলে কুমিল্লা, রাজশাহী, গোপালগঞ্জ, সিলেটে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ আয়োজন থেকে আপাতত বিরত থাকছে বাফুফে। বসুন্ধরা কিংস এরেনা, টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ স্টেডিয়াম, মুন্সিগঞ্জের শহীদ লে.মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের সঙ্গে আর্মি স্টেডিয়ামকে করোনার এই সময়ে ভেন্যু হিসেবে বিবচেনা করছে বাফুফে। 

সভাশেষে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমাদের ভেন্যুগুলো প্রস্তুত ছিল। তবে এই করোনা পরিস্থিতি ও সরকারের বিধিনিষেধ মেনে দলগুলোর ঢাকার বাইরে গিয়ে থেকে আবার ফিরে আসার পরিবর্তে আমরা ঢাকার আশেপাশে খেলার আপাতত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্লাবগুলো এতে সম্মত হয়েছে।’ 

করোনা পরিস্থিতির উর্ধ্বগতি এই মাসজুড়েই। লিগ কমিটির আগের সভায় করোনার বিষয়টি বিবেচনা করেও সাত ভেন্যুতে খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। দশ দিনের মধ্যে এই অবস্থার পরিবর্তনের কারণের ব্যাপারে লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের ব্যাখ্যা, ‘পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। রাজশাহী আমাদের ভেন্যু ছিল। সেখানে সংক্রমণের হার ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। এই চার ভেন্যু সাময়িক এই পরিস্থিতির জন্য। অবস্থার উন্নতি ঘটলে তখন আবার আবার সাত ভেন্যুতে চলে যাব।’

আগের সাত ভেন্যুর কোনটা কোন দলের সেটা বণ্টন হয়ে গিয়েছিল। নতুন এই পরিস্থিতিতে ভেন্যু ব্যবস্থাপনাতেও পরিবর্তন এনেছে বাফুফে, ‘এখনো কোনো ক্লাবের নিজস্ব ভেন্যু থাকবে না। চারটি ভেন্যুই বাফুফের ব্যবস্থাপনায় থাকবে। সব ভেন্যুতে সব দলের সমান ম্যাচ থাকে যেন ফিকশ্চারে সেটা নিশ্চিত করা হবে।’ 

চার ভেন্যুর মধ্যে রয়েছে বসুন্ধরা কিংসের। যেটা তাদের সম্পূর্ণ নিজস্ব। নতুন নীতিতে এই  ভেন্যুও থাকবে বাফুফের অধীনে। এটা হলে বসুন্ধরা নিজেদের হোম সুবিধা বঞ্চিত হবে। বসুন্ধরা কি অন্য দলকে নিজেদের ভেন্যু ব্যবহারের সুযোগ দেবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘সভায় তাদের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেব।’

ফেডারেশন কাপ কয়েকটি ক্লাব বর্জন করেছিল ঝুকিপূর্ণ কমলাপুর টার্ফে আয়োজনের জন্য। সেই সময় কয়েকটি ক্লাবের দাবি ছিল ঘাসের মাঠে খেলা আয়োজন। বাফুফে ক্লাবগুলোর দাবি উপেক্ষা করে কমলাপুরেই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে। এখন করোনা ও পরিববির্তত পরিস্থিতিতে বাফুফে আর্মি স্টেডিয়ামকেও ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করছে। 

এখন বিবেচনা করলে ফেডারেশন কাপের সময় নয় কেন এর উত্তরে সালাম বলেন, ‘আর্মি স্টেডিয়ামের মাঠটি পুরো সপ্তাহের জন্য পাওয়া যাবে না। আমরা চিঠি দিয়েছি। সপ্তাহে কয় দিন পাওয়া যাবে। সেটা আগামীকাল জানা যাবে। ফেডারেশন কাপ সেখানে আয়োজন করা যায়নি কারণ তখন সপ্তাহে দুই দিনের বেশি মাঠ তারা দিতে পারছিলেন না। এতে টুর্নামেন্ট অনেক দীর্ঘ হয় এবং কিছু দল ঘাসে আর কিছু টার্ফে হল তখন আবার প্রশ্ন উঠত। এজন্য আমরা টার্ফেই আয়োজন করেছি টুর্নামেন্ট।’ 

এজেড/এমএইচ/এটি