অলিম্পিক থেকে ছিটকে পড়েছেন নিজের ভুলে। এরপর নাওমির মনের অবস্থাটা বলে দেওয়া যাচ্ছে মলিন চেহারা দেখেই/এপি

দেশের মাটিতে অলিম্পিক। তার মশালটা জ্বলেছিল নাওমি ওসাকার হাত ধরে। তবে তার হাতে আরও একটা মশাল জ্বলছিল আরও বহুদিন ধরেই। সে মশাল অলিম্পিক সোনার আশার। তবে সেই আশার মশাল নিভে গেল আজ। চেক প্রতিপক্ষ মারকেতা ভোন্দ্রুসোভার কাছে যে নাওমি হেরে বসেছেন সরাসরি সেটে!

টোকিও অলিম্পিকের তৃতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিলেন টেনিস র‍্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাওমি আর ৪২তম মারকেতা। তবে র‍্যাঙ্কিং যে নির্দিষ্ট দিনে একেবারে অর্থহীন একটা বিষয়, সেটাই যেন ম্যাচে প্রমাণ করলেন চেক প্রতিযোগী।

তবে এতে ওসাকার দায়ও ছিল বৈকি। পুরো ম্যাচে আনফোর্সড এরোরের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন যেন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছিল ৩২-এ, যেখানে মারকেতার ক্ষেত্রে এ সংখ্যাটা ছিল মোটে দশ। এমন কিছুর পরে আর যাই হোক, জয়টা তুলে নেওয়া কার্যত অসম্ভবই। শেষমেশ হয়েছেও তাই। ২০১৯ ফ্রেঞ্চ ওপেনের রানারআপ মারকেতা ওসাকাকে উড়িয়ে দিয়েছেন ৬-১, ৬-৪ গেমে।

এসেছিলেন ফেভারিট হিসেবে, সেখানে পৌঁছুতে পারলেন না কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্তও। এমন কিছুর পর তো মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। ওসাকা ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনেই এলেন না যেমন। অন্যদিকে মারকেতা যেন উঠে গিয়েছিলেন সপ্তম স্বর্গে! সেটাও অবশ্য স্বাভাবিকই। স্বাগতিককে তারই ঘরের মাটিতে হারিয়ে দেওয়াটা যে চাট্টিখানি কথা নয়!

ওসাকার বিদায়ে এখন অলিম্পিক টেনিসে আর রইলেন না শীর্ষ তিনের কেউই। প্রথম রাউন্ডে ছিটকে গিয়েছিলেন অ্যাশলি বার্টি। গতকাল শনিবার বিদায় নিয়েছিলেন আরিনা সাবালেঙ্কা। আজ নিলেন নাওমি। ফলে র‍্যাঙ্কিংয়ের চারে থাকা এলিনা সভিতোলিনার সামনে এখন অলিম্পিক জয়ের সুবর্ণ সুযোগ। 

তবে এই ফেভারিট-আন্ডারডগের হিসেব যে অন্তত চলতি অলিম্পিক টেনিসে খুব একটা ফারাক গড়ে দেয়না, প্রথম তিন রাউন্ডের পর আর তা বলে না দিলেও চলে। কে জানে সভিতোলিনা পরের রাউন্ডেই কোনো মারকেতার সামনে পড়ে যান কিনা!

এনইউ/এটি