প্রতীকী ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী শিক্ষার্থীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের দায়ে বিপুল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আইফোন সারানোর জন্য অ্যাপলের সেবা কেন্দ্রে যান। আইফোনটি কিছুদিনের জন্য তিনি সেখানে জমা রাখেন। পরে ক্যালিফোর্নিয়ার দুই কর্মী আইফোনটি সারিয়ে দেয়। একই সময় ওই নারীর ১০টি অশ্লীল ছবি ও একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় তারা। তবে কাজটি এমনভাবে করা হয়, যাতে মনে হয় ওই শিক্ষার্থীই এগুলো প্রকাশ করেছেন। 

এ ঘটনায় ‘মানসিকভাবে বিপর্যস্ত’ হয়ে পড়েন ওই শিক্ষার্থী। এভাবে হেনস্থা করার জন্য আদালতে তিনি ৫০ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয় অ্যাপল। তবে সামগ্রিক ব্যবসায়িক ক্ষতি এড়ানোর জন্য তারা ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে এক গোপনীয় চুক্তি করা হয়েছে। এতে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে তার কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করেছে যে বিষয়টি তিনি কারো সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন না। 

অ্যাপল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার চেষ্টা করছি। আইফোন মেরামতের সময় কেউ তথ্য চুরি করলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই।’ 

বিবৃতিতে অ্যাপল আরও বলেছে, ২০১৬ সালে ওই নারী শিক্ষার্থীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্থা করার অভিযোগে দুই কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজে অভিযুক্ত হলে তার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি কঠোর অবস্থান নেবে। 

অ্যাপল বলেছে, কয়েক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্থার অভিযোগ তদন্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত দুই কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেও একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে। সে সময়ও আইফোন মেরামতের জন্য আসা এক নারীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন অ্যাপলের এক কর্মী।

এইচএকে/এএ